আওয়ামী সোনার ছেলে ও ছাত্রলীগের সৈনিক বদরুল আলমের কোপে এম সি কলেজের ছাত্রী এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আওয়ামী শাষনে অতিষ্ঠ মানুষ যখন এখন এই বাকশালীদের ভয়ে ঘরের ভেতর গিয়ে লুকিয়ে দিন পার করছে, ঠিক সেই সময়ে সোনার ছেলেরা ঠিক করেছে এই লুকিয়ে থাকা অবস্থাতেও তারা ঘরে ঘরে গিয়ে কোপাবে। তারা এও ঠিক করেছে যে সাধারন শিক্ষার্থীদের তারা পড়ালেখা করতে দেবে না এবং সবাইকেই তাদের মত অশিক্ষিত করে গড়ে তুলবে। ছাত্র লীগের সন্ত্রাসীরা নিজেরা তো পড়ালেখার কাছে নেই-ই উপরন্তু যারা পড়ালেখা করে বড় হতে চায় একটু, যারা শিক্ষিত হতে চায়, তাদের কেটে কেটে রক্তের বন্যা বইয়ে দেবার পরিকল্পনাতেই যেন মশগুল এই সন্ত্রাসী বাহিনী।
আজ সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লীগের সন্ত্রাসী বদরুল আলমের কোপে আহত সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে খাদিজাকে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে গুরুতর জখম হওয়ার পর তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস জানান, তাঁর মাথায় পাঁচ-ছয়টি কোপ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা কোনো আশ্বাস দিতে পারেননি। তাঁরা বলেছেন, পরিস্থিতি ভালো নয়। কোপে গুরুতর জখম হয়েছে। স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর পরিস্থিতি দেখে তৎক্ষণাৎ তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে বন্দর-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করছেন। তাঁরা হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে আগামীকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া এমসি কলেজ ক্যাম্পাসের সামনেও মানববন্ধন করছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দিতে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন খাদিজা। বিকেলে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম (২৭)।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশ দক্ষিণের উপকমিশনার (ডিসি) বাসুদেব বণিক জানান, হামলাকারী যুবককে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনাটি প্রেম সম্পর্কিত কারণে ঘটেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।