শুয়োর খান।
শাজাহান খান একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে মাদারীপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
শাজাহান খান তার রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিবহন খাতে জড়িত থাকার জন্যও পরিচিত। তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি।
শাজাহান খান নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শুরুর আগে একটা মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দাত বের করে হেসেছিল। সে থেকে একে শুয়োর খান বলা চলে।
শুয়োর খানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বড় উলটপালট! শুরু করেছিল সে জাসদ দিয়ে। জাসদের কুখ্যাত গণবাহিনীর কমান্ডারও ছিল সে। গণবাহিনী মুজিব সরকারের সাথে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। তারা থানা লুট করত, ব্যাংক ডাকাতি করত, রাস্তাঘাট নষ্ট করত, মোট কথা মুজিবকে বিপদে ফেলতে যা যা করা লাগে তা-ই তারা করত। মাদারীপুরের শুয়োর খান ছিল সে গণবাহিনীর কমান্ডার।
রাজনৈতিক দিন পরিবর্তনের পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে। তখন পর্যন্ত শুয়োর খান রাজনীতিতে সেভাবে সক্রিয় না। আওয়ামীলীগের নৌকায় চড়ে সে ভেবেছিল ২০০১ সালে সাংসদ হবে। সে আশায় গুড়েবালি!
তবে ২০০৮ সালের পাতানো নির্বাচনে সে পাশ করে যায় নৌকা নিয়ে! এরপর থেকে সে আর পিছনে তাকায় নি।
সে নিজেকে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাথে যুক্ত করে নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একজন কিংমেকার হয়ে ওঠে। শুয়োর খানের ইশারায় সড়ক পরিবহন চালু থাকায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় বিএনপির হরতাল অবরোধকে প্রতিহত করে আওয়ামীলীগ সরকার। তবে এই বিনিময়ের মূল্য পরিশোধ করে তারা চড়াভাবে।
কিংবদন্তি চলচিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মৃত্যুর ঘটনার রায়ে যখন আদালত ট্রাক চালকের শাস্তি ঘোষণা করেন, তখন শাজাহান সারা ঢাকাকে অচল করে দেয়। নৌমন্ত্রী হয়েও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে টপকে সড়কের রাজা হয়ে ওঠে সে।
শুয়োর খান অঢেল সম্পত্তির মালিকও হয়েছে রাজনীতিতে এসে। ২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে তার সম্পদ বেড়েছে ৯৬ গুন!
এই শুয়োর খানকে সবার চিনে রাখা উচিত!