সরকার আগে থেকেই পলায়নের রাস্তা খুলে রেখেছে

গত ১৫ বছর ধরে বিদেশে অর্থ পাচার এবং সম্পদ গড়ে তোলার জন্য দায়ী আমলারা এখন তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে দেশ ছাড়ছেন। এমনকি যে সামরিক সংগঠনটি গত ১৫ বছর ধরে সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে তারাও এখন বিমানবন্দরে সারিবদ্ধভাবে চলে যাওয়ার জন্য।

তার প্রমাণ থেকে জানা যায়, কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন মনিরুল ও সালমান এফ রহমান এসবি। মনিরুল গর্ব করে ইমিগ্রেশন অফিসার ও সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তাদের বলেন, তারা যাত্রীদের হয়রানি করবেন না। তিনি বলেন, এমনকি যদি কোনো আমলা বা সরকারি কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণের সরকারি আদেশ থাকে বা কোনো অর্থ পাচারকারী বা দণ্ডিত আসামিকে দেশ ছাড়ার জন্য আদালতের আদেশ থাকে, তাহলেও তাদের তা থেকে বিরত রাখা উচিত নয়। অন্য কথায়, তিনি ঢাকা ইমিগ্রেশনকে ওপেন গেট নীতি অনুসরণ করার নির্দেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা কিছু অপরাধী তাদের ট্রানজিট পয়েন্ট পরিবর্তন করছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার পরিবর্তে তারা এখন সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়া হয়ে ইউরোপ বা আমেরিকায় যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন সরকারি চাকরির জন্য দেশ ছাড়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য তদবির করছেন।

You may also like...

Read previous post:
আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রের মোড়কে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের ইঙ্গিতবাহী দল

রোববারের পত্রিকা পড়ার পর আরও চিন্তিত হয়ে আছি। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, গুম ও নিখোঁজের কিছু ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পৃক্ততার...

Close