কোরানে অমুসলিম বিদ্বেষ!

কোরান মুসলিমদের শেখায় অমুসলিমদের ঘৃণা করতে। পরম দয়ালু আল্লাহ তায়ালা বিধর্মীদের সৃষ্টি করে, তাদের অন্তরে সীল মোহর মেরে দিয়ে তার ভক্তদের বলছেন ওদের ঘৃণা করতে! আল্লাহ বলেন-

তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।

কুরআন ৭ঃ১৭৯

যারা গণহত্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন তাদের কাছে এই ধরণের উপমা অনেক বিস্ময়কর লাগার কথা। “চতুষ্পদ জন্তু”, “নিকৃষ্টতর” ইত্যাদি ভাষা হচ্ছে dehumanization এর ধাপ। হিটলার গণহত্যার আগে ইহুদীদের ইঁদুরের সাথে তুলনা করেছিল, ইয়াহিয়া খান- নিয়াজী বাঙালিকে পোকামাকড়ের সাথে তুলনা করেছিল। এমন তুলনা আর ভাষার ব্যবহার ঘৃণাকে উস্কানি দেয়, আদারাইজেশন সৃষ্টি করে যার ফলাফল হয় গণহত্যা।

অবশ্য কোরানে আল্লাহ সেটাই চায়!

আল্লাহ ঘোষণা করে-

হে নবী! কাফের ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জেহাদ করুন এবং তাদের প্রতি কঠোর হোন। তাদের ঠিকানা জাহান্নাম। সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্খান।

কুরআন ৬৬ঃ৯

 

-হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন।- তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা।

কুরআন ৯ঃ৭৩

 

-তা এই যে, তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্খাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ।

কুরআন ৬১ঃ১১

 

-তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর।বস্তুত: আল্লাহ্ই জানেন, তোমরা জান না।

কুরআন ২ঃ২১৬

 

-যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ্ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।

কুরআন ৯ঃ১৪

 

আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুত: ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি।

কুরআন ২ঃ১৯১

 

আবার ভালো সেনাপ্রধানের মত আল্লাহ বলেও দেয় যে যদি মুসলিমরা হেরেও যায় এসব যুদ্ধে, তাহলে আল্লাহ অমুসলিমদের দেখে নেবে, জাহান্নামে তাদের জ্বালিয়ে মারবে।

 

অতএব যারা কাফের হয়েছে, তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো দুনিয়াতে এবং আখেরাতে-তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।

কুরআন ৩ঃ৫৬

 

আল্লাহ নিজেই বলে সে কাফিরদের অন্তর তালাবদ্ধ করে রেখেছে, আবার নিজেই বলে তালাবদ্ধ থাকার শাস্তি হবে! মোরগকে ডিম দিতে বসিয়ে ডিম দেয়ার জন্য শাস্তি দেয়া কোনো যৌক্তিক সত্ত্বার কাজ? কোনো পরম জ্ঞানীর কাজ? সর্বদ্রষ্টার কাজ?

 

 

You may also like...

Read previous post:
নারীর প্রতি সহিংসতার একটা অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে বৈবাহিক ধর্ষণ

নারীর প্রতি সহিংসতার একটা অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে বৈবাহিক ধর্ষণ। উন্নত দেশে এই সহিংসতার বিরুদ্ধে আইন এবং এক্টিভিজম আছে, বাংলাদেশে নাই।...

Close