দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার

সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার। মানুষ ভীত, মানুষ ঝামেলা এড়িয়ে চলতে চায়। চোখের সামনে দূর্নীতি, চুরি, ক্ষমতার অপব্যবহার, ভোট চুরি, খুন, গুম, চাদাবাজি, নির্যাতন দেখে যেমন মানুষ অতীষ্ঠ, তেমনি ভীত। প্রত্যেক ঘরে ঘরে কেউ না কেউ আওয়ামিলীগ বা পুলিশের দ্বারা নিপীড়িত হয়েছে, বা কোনো চাপে আছে। পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে চাদাবাজি করে। তাও ভালো, সরকারি গুন্ডাবাহিনী র‍্যাবের মত তুলে নিয়ে গিয়ে সচরাচর হত্যা করে ফেলে না কাউকে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার দলীয় সংগঠনগুলোও কোনো অংশে কম না। খুন, গুম, রাহাজানি, ধর্ষণ, কোন্দল, চাদাবাজি, টেন্ডারবাজিতে যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ কোথাকার কোন তাতীলীগেরও নাম শোনা যায়! বুঝেন অবস্থাটা!

তাত পেশা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটা পেশা, একটা সময় বাংলাদেশের তাত সারাবিশ্বে পরিচিত ছিল। তাতের শাড়ী ছিল বাংলাদেশের প্রতীক। আর এখন তাতীলীগ বানিয়ে এই মহৎ পেশাটাকে কলুষিত করেছে সরকারী দল।

সরকারের সবচেয়ে দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদল হচ্ছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের কারণে দেশে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়েছে। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের গুন্ডাদের অবাধ বিচরণ, যেখানে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কিছুটা কঠোর সেসব এলাকায় কিছুটা হলেও শান্তি বিরাজ করে, কিন্তু সব রসুনের গোড়া তো একই হয়।

ছাত্রলীগের নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে চাদা দাবি করে বহিষ্কৃত হয়। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আর কোনো তদন্ত হয় না।

নারীদের ইভটিজিং, শ্লীলতাহানি, পেশাজীবি নারীদের হেনস্তা করা, এমনকি ধর্ষণও করে ছাত্রলীগের ছেলেরা। তারা এত উদগ্র কারণ তারা জানে যা কিছুই করুক, তাদের মাথার উপরে শেখ হাসিনার হাত আছে। শেখ হাসিনা তাদের শেল্টার। তাদের কিছুই হয় না।

বদরুল থেকে শুরু করে নুসরাতের খুনী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, সবাই আওয়ামীলীগের ঘনিষ্ট লোক। জানা যায় তাদের জেল হলেও তারা জেলে রাজার হালে থাকে।

শেখ হাসিনা হিটলার বা মাওসেতুংয়ের মত ফ্যাসিস্ট বলেই তার এত পেটুয়া বাহিনী দরকার। আওয়ামীলীগের সামান্যতম সমালোচনা করলেই হয় আপনাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে, পিটিয়ে পঙ্গু করে দেবে, আর না হয় আবরার ফাহাদের মত আপনাকেও ছাত্রলীগ মেরে ফেলবে।

আপনি দেশে বসে তাদের সমালোচনা করতে পারবেন না।  বিদেশে বসে আপনার সমালোচনাকে তারা বিভিন্ন উপায়ে ব্লক করে দেবে। কোনো উপায়েই আপনি তাদের সমালোচনা নির্বিঘ্নে করতে পারবেন না। দেশে থাকুন, বিদেশে থাকুন, হত্যার হুমকি, পরিবারকে হত্যার হুমকি, পরিবারের সদস্যদের ধর্ষণের হুমকি এগুলো সাধারণ ব্যাপার এদের কাছে। আর হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণের পরে তো এদের বিচার হয় না। বিচার হলে হয়ত এদের মনে ভয় থাকতো। কোনো স্ক্যান্ডাল উঠলেও পদচ্যুতি ছাড়া কোন শাস্তিই হয় না।

কুখ্যাত সন্ত্রাসী সিদ্দিকী নাজমুল আলম দেশ থেকে পালিয়ে বিদেশ চলে গেছে। সেও আরামের জীবনযাপন করছে।

তবে এদের বিচার একদিন হবে।

You may also like...

Read previous post:
পরিবহন শ্রমিক লবি: আওয়ামীলীগের অসহায়ত্ব

সরকার কি নিরাপদ সড়ক চায় না? ২০১৮ সালে স্কুলের বাচ্চারা যখন রাস্তায় খুবই সামান্য একটা দাবি নিয়ে নেমেছিল, নিজেদের জীবন...

Close