মেজর (অব.) রাশেদ রাশেদ সিনহাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করলো পুলিশ! কিন্তু বিস্ময়কর ভাবে সেনাপ্রধান এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং ব্যক্তি বিশেষের দায় বলে খুনিদের পক্ষে সাফাই গাইছে!
এখানে আরও দুটি প্রশ্ন, পুলিশ (এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত) সাক্ষ্য দিয়েছিল লিয়াকত ৪টি গুলি করেছিল। কিন্তু সুরতহাল করতে গিয়ে মেজর রাশেদের শরীরে ৬টি গুলি পাওয়া গেছে! তাহলে বাকী দুটি গুলি করলো কে? তার মানে পথিমধ্যে আরও কেউ দুটি গুলি করেছে! কে এই ২য় খুনি? কার এত ক্রোধ? ওসি প্রদীপ কুমার নয় তো?
ঘটনাস্থল শামলাপুর থেকে কক্সবাজার হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে ১ ঘন্টার বেশি লাগার কথা নয়। কিন্তু গুলিতে আহত জীবিত মেজর (অব.) রাশেদকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পুলিশ সময় নেয় ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট! তাহলে কি এই বাড়তি ৪৫ মিনিটে আহত রাশেদকে অন্যত্র নিয়ে আরও ২ রাউন্ড গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করেছে? কেনো এবং কার এত ক্রোধ?
এছাড়াও গুলি খাওয়ার পরে রাশেদের বডিকে ওসি প্রদীপ পা দিয়ে লাথি দেয় বলে খবর ছড়িয়েছে! লাথি দেয়ার ঘটনা তাহলে কোথায় ঘটেছিল? ওসি প্রদীপ টেকনাফে জয়েন করার পরে বন্দুকযুদ্ধের নামে ২০৪ জনকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে মেজর রাশেদ হলো শেষ ব্যক্তি!
এসব বিষয় সত্য উদঘাটনের জন্য লিয়াকত, ওসি প্রদীপ, এসপি, ট্রাকের ড্রাইভার সহ ঘটনাস্থলে থাকা সকল পুলিশকে রিমান্ডে নেয়া দরকার।