আমরা বাংলাদেশিরা যখনই প্রবাসে একসাথে হই, বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনার প্রসঙ্গ হিসেবে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ এসেই যায়। আর যারা আমরা দেশকে নিয়ে ভাবি, তাদেরতো আলোচনার মূল প্রসঙ্গই হলো – বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।
এই কিছুদিন আগেই যুক্তরাজ্যে আমাদের কয়েকজন বন্ধু মিলে আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠলো।
এছাড়াও এই সময়ে প্রখ্যাত অনেক অনলাইন এক্টিভিস্ট, এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে অনবরত লিখে যাওয়া সাহসী ব্লগার ও লেখদের কথাও এলো। আড্ডার শুরুতেই আমার বন্ধু ও পোর্টাল বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক চিন্ময় দেবনাথ-কে জিজ্ঞেস করলাম, “তোমার কি মনে হয়? কেমন আছে বাংলাদেশ? উত্তরে চিন্ময় যা বলে সেটা আমাদের সকলের চিন্তার খোরাক হতে পারে। চিন্ময় দেবনাথ-এর ধারনা শেখ হাসিনার পরিণতি হওয়া উচিৎ তার বাবার মতন। যদিও খুন-হত্যা বা ক্যু এগুলো সমর্থনযোগ্য নয় কিন্তু চিন্ময়ের ধারনা বাংলাদেশে এই ফ্যাসিবাদ মুক্ত করবার একটাই উপায়, আর সেটি হচ্ছে হাসিনার পতন ও বংশসহ সম্পূর্ণ নির্মূল করা ঠিক যেমন করে নির্মূল করা হয়েছে শেখ হাসিনার পিতা শেখ মজিবুর কে”
তিনি বলেন – বাংলাদেশ একদম ভালো নাই। এরকম স্বৈরাচার সরকারের আমলে কিভাবে ভালো থাকবে বলেন? আসল কথা হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কাতারে পড়েন না । উনি হচ্ছেন – হিটলার , লোভী , খুনি স্বার্থান্বেষী সরকার প্রধান । মানুষরুপী ডাইনি । যদি তাই না হতো – তাহলে তিনি বা তার দল অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় আসত না , দেশের মানুষের সাথে উন্নয়নের নামে লুটপাট করত না । আসলে এই শেখ হাসিনাকে হয় গদি থেকে টেনে নামিয়ে ফেলতে হবে আর নাহয় হত্যা করে ফেলতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ আবারো স্বাধীন হয়ে যাবে।
এদিকে আমাদের আরেক বন্ধু এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল জিটিভি’র সাংবাদিক এমডি মাহাদি হাসান বলেন – দেখুন নিউজ করার দৌলতে সরকার আমাদেরকে অনেক যায়গায়ই নিতে বাধ্য হয়। ভেতরের অনেক গোপন খবরও আমাদের জানার সৌভাগ্য হয়। একটি কথা না বললেই নয়, আমরা যে বাংলাদেশকে চিনতাম, জানতাম আজকের বাংলাদেশের সাথে এর কোন মিল নেই। সত্যি কথা বলতে এই বাংলাদেশটা এখন একদমই ভালো নেই। হয়তো শুনতে খুবই খারাপ দেখা যাবে, তারপরও একটি কথাই বলতে চাই যে, এই খুনি হিটলারি দল, অবৈধ হাসিনার সরকার বা নৈশভোট চোর সরকার বাংলাদেশের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনা নামক এই ডাইনীকে প্রাণে নাশ না করা পর্যন্ত আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ এই হিটলারের দল থেকে মুক্তি পাবে না। তবে আমি আশা করি খুব শীঘ্রই হাসিনারও তার বাবার মতো অবস্থা হবে, কথাটি লিখে রাখুন।
আমাদের এই আড্ডায় সাথে ছিলেন নড়াইল ও ঢাকার সাবেক ছাত্র শিবির নেতা ( শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিবিরের সভাপতি এবং প্রাইম ইউনিভার্সিটি মিরপুরের প্রাক্তন শিবির নেতা) শ্রদ্ধেয় ডলার বিশ্বাস। তিনি বলেন,
“খুনী শেখ হাসিনার এই বাংলাদেশে বেঁচে থাকবার কোন অধিকার নেই। যার হাত মজলুমের রক্তে রঞ্জিত, আমাদের শহীদ নেতাদের রক্তে রঞ্জিত সেই হাসিনার বেঁচে থাকবার সামান্যতম অধিকার আর নেই। আর এই কারনেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই খুনী, জালিম মহিলাকে পায়ু পথের ক্যানাসার দিয়েছেন। আপনারা হয়ত অনেকেই জেনে থাকবেন লন্ডনে শেখ হাসিনার পায়ু পথের ক্যানাসারের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। যদিও এই কথাটি গোপন করবার জন্য আওয়ামী বাকশালীদের চেষ্টার কোনো অন্ত নেই। কিন্তু এরই মধ্যে আমাদের নেতা কর্মীরা ইনশাল্লাহ খোঁজ নিয়ে বের করেছে লন্ডনের একটি হাসপাতালে এই খুনী হাসিনা চিকিৎসা নিতে আসে।
বর্তমানে তার অবস্থা ক্যান্সারের তৃতীয় স্টেজে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আসলে সবই যে দেখেন ও বুঝেন এটা সেটার-ই প্রমাণ। পধাম সেতুতে মানুষের মাথা কেটে সেখানে বসিয়ে এই মহিলা চেয়েছিলো আমাদের শিবির ভাইদের রক্তে সেতু বানাবে, কিন্তু সেটা প্রতিহত করেছে বাংলার জনতা। উলটো ছাত্রলীগের ছেলেদের জনতা গনপিটুনী দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এখন আল্লাহ খেলা দেখালেন হাসিনার পায়ু পথের ক্যানাসার দিয়ে। অবশ্য অনেকে বলেন তার এইডস হয়েছে যদিও এই তথ্য সত্য নয় বলেই আমরা জেনেছি। কিন্তু বন্ধুরা আপনারা জেনে রাখেন আমরা শিবির কর্মীরা বসে নেই। খুব শিঘ্রী আমরা এমন খেলা দেখাবো ইনশাল্লাহ যে এই অবোইধ মসনদ টলে যেতে সেকেন্ড পরিমাণ সময় লাগবে না। এই নাস্তিক প্রেমি, এই ভারত প্রেমী অবৈধ এক নায়কের পাছাতে আজ ক্যান্সার হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই বাকি খেল আপনারা দেহতে পাবেন ইনশাল্লাহ”
আমাদের আরেক বন্ধু ও সহকর্মী এমডি তোফায়েল হোসেন বলেন – শেখ হাসিনা কি মানুষ? তাঁর মধ্যে কি কোন মনুষ্যত্ববোধ আছে? এই অমানুষ মহিলা নাকি বাংলাদেশের সরকারের প্রধান! এই অবৈধ স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী দিয়ে দেশ কিভাবে চলবে? বাংলাদেশটাকে একেবারে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে। একে একেবারে নির্মূল করা না গেলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আসলে অন্ধকার।
চিন্ময় দেবনাথের মতই আমাদের আরেক বন্ধু মিফতাহুর রহমান ভাই। তিনি বলেছেন-
“হাসিনাকে নির্মূল হতে হবে তার পিতার মত, যে কোনো মূল্যে। বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই বাংলাদেশ থেকে নির্মূল না করা পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা আসবে বলে আমি মনে করিনা। এখন এই নির্মূল কিভাবে সম্ভব? এই নির্মূল করা কি হাসিনাকে ঝাড়-বংশে খুন করে ফেলা? নাকি তার দলকে নির্মূল করে ফেলা নাকি তার রাজনৈতিক আদর্শকে সকলের সামনে অসাড় প্রমাণ করা নাকি তাকে গণ অভ্যুথানের মাধ্যমে অর্থ্যাৎ বিপ্লবের মাধ্যমে নিশ্ছিহ্ন করে দেয়া? এটার একটা ফয়সালা করা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।
এক পর্যায়ে কথা বললাম তরুন ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট ও পোর্টাল বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ এমাদ-এর সাথে। তিনি বলেন – “লাল সবুজের দেশ বাংলাদেশ । আমাদের সোনার বাংলাদেশ এখন অবৈধ সরকার (হিটলার হাসিনা) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। হাসিনাকে এই মুহূর্তে ঠিক তার বাবার মতই মেরে নিশ্চিহ্ন করে ফেললেই বাংলাদেশ সেই আগের গৌরব ফিরে পাবে। স্বৈরাচারী সরকার দিয়ে দেশ চালাতে দেওয়া যাবেনা। আমাদের আন্দোলনে নামা উচিত। আর এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে হবে সেনাবাহিনী ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এন এস আই কে”
আমাদের আরেক বন্ধু নিজামউদ্দিন দোদন বলেন – অগণতান্ত্রিক লোভী ও স্বার্থান্বেষী সরকারের কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। এই অবৈধ সরকার দেশ ও জাতীকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এখনি এই হাসিনাকে নির্মূল না করা গেলে বাংলাদেশের ভাগ্যে অনেক নিচের দিকে নামতে থাকবে।
“প্রবাসী প্রখ্যাত ব্লগার, লেখক বুদ্ধিজীবি ফাহাম আব্দুস সালাম বলেন, হাসিনাকে এই লেজিটিমিসি দিয়েছে ভারত। আর দেখুন এখন ভারতও কাশ্মীরকে কিভাবে চেপে ধরেছে যেভাবে আমাদের গলা টিপে ধরেছে হাসিনা। হাসিনাকে স্বপরিবারে নিশ্ছহ্ন করে না দিলে এই সংকট থেকে পরিত্রাণ কি আদৌ সম্ভব? না সম্ভব নয়। তাই চলুন সকlলে মিলে হাসিনাকে নির্মূলের সংগ্রাম চালাই”
তিনি আরো বলেন- “চিন্তা করে দেখেন একটা দেশ বলতেছে তার ১৯ লাখ মানুষ তাদের না, ইমপ্লাই করতেছে যে এরা অন্য দেশের আদম, আর সেই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলতেছে এতে উদ্বেগের কোনো কারণ নাই। কোন ধরনের ভোকচোদ দেশটা চালাইতেছে একটু চিন্তা করেন”
একই চিন্তা ভাবনা কামরুননাহের শাহানা -এর। আমার আরেক বন্ধু, সুহৃদ। তিনি লন্ডন মহানগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। কোনো ক্রমেই তাঁর ক্ষোভ লুকিয়ে রাখতে পারেন নি। তিনিও বলেন, “হাসিনাকে তার বাবার মত নিঃশেষ করে দিতে পারলেই হয়ত বাংলাদেশ মুক্ত হবে। নতুন করে এই দেশ স্বাধীন হবে। কেননা দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে এই কুচক্রী নারী ছিনিমিনি খেলছে। তার পুরো পরিবার দূর্নীতির সাথে সম্পূর্ণ যুক্ত এবং দেশের মানুষের অর্থ আত্নসাৎ-ই এই হাসিনার মূল ধর্ম। ভারতের একটা অঙ্গ রাজ্য প্রতিষ্ঠায় হাসিনার যে ভূমিকা সেটির জন্য বাংলাদেশের সর্ব স্তরের মানুষকে নেমে আসতে রাজপথে। আওয়ামী এই দুঃশাষনের এই যাঁতাকলে পিষ্ট মানুষেরা হাসিনাকে নামাবে দখল করে রাখা গদি থেকে। একবার সুযোগ পেলে আমি নিজেই নির্মূল করে দেব এই আওয়ামী পুরো বলয়। এই পৃথিবী থেকে হাওয়া করে দেবো আওয়ামীলীগের নাম। হাসিনার নাম”
পোর্টাল বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক সম্পাদক এম ডি সাব্বির হোসেন, বলেন আরেকটি ৭৫ এখন অনিবার্জ। হাসিনাকে নির্মূল ছাড়া গণতন্ত্র অক্লপনীয়।
কাওসার হামিদ, এহসানুল কবির, কিংবা এএসএম শাহিনুর রব, ঐ তিন তরুনেরও মতামত এক। আরেকটি ১৫ ই আগস্ট রচনা করতে হবে এবং শেষ করে ফেলতে হবে ফ্যাসিবাদকে। হাসিনাকে নির্মূল করা না গেলে ফিরে আসবে না গণতন্ত্র। কাওসার হামিদ তো বলেই ফেললেন, “হাসিনাকেই আমি তার বংশ সহ শেষ করে দিতে চাই মাঝে মধ্যে। তার প্রতি আমার এত ক্ষোভ”। এএসএম আজিম বললেন, “হাসিনা আর দূর্নীতি একই শব্দের পরিপূরক। দেশের টাকা দিয়ে তার ছেলে আমেরিকায় পড়াশোনা করছে এবং তার মেয়েও এইসব টাকা দিয়ে আরামে রয়েছে”। প্রিন্স মাতুব্বর তো বলেই বসলেন যে “প্যারামিলিটারী গঠন করে হাসিনার মত লুটেরাদের বিচার হতে হবে এবং উৎখাত করতে হবে”
এহসানুল কবির এইসব আলাপে যেন ফুঁসছিলেন। হাসিনার আমলে তাঁর পরিবার রীতিমত নিঃশ্বেস হয়ে গেছে। পুরো পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিজেও আহত হয়েছেন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা। তিনি বলেন “হাসিনাকে এই বাংলার জমিনেই জবাব দিতে হবে। এই দেশেই এই ডাকাত মহিলার বিচার হবে। এই খুনী হাসিনার বিচার হবে। হাসিনা গত ১১ বছরে বাংলাদেশে থেকে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। কয়েক লক্ষ আলেমকে হত্যা করেছে। হাসিনাকে বায়তুল মোকারম্মের সামনে বিচার ছাড়াই ফাঁসী দিতে হবে।
বন্ধু মোহাম্মদ আবু জোবায়ের রব্বানীর সাথে সেদিন হোয়াইট চ্যাপেলে দেখা হোলো। দেখা হতেই বুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো রব্বানি। আমি ভাবতেই পারিনা। রব্বানীর মত জাতীয়তাবাদের এমন কৃতী কর্মী যার নাম শুনলেই কেঁপে উঠতো অনেকেই, আজ রব্বানীকেই কাঁদতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন তিনি দেশে যেতে পারেন না। দেখেন না পরিবারকে। এমন অবস্থায় শুধু রব্বানি নয়, অসংখ্য রব্বানি রয়ে গেছে সারা পৃথিবী জুড়ে। রব্বানি তীব্র ভাষায় বলে ওঠে, ” এই ভারতের র-ই এখন চালাচ্ছে বাংলাদেশের তিন বাহিনীকে। আর পুলিশ-র্যাব এদের কথা বাদই দিলাম। বন্ধু যদি সুযোগ পাই তাহলে হাসিনাকে আমি চিরতরে শেষ করে দেব”
বন্ধু এম ডি আনিছুজ্জামান বলেন ২০১৪ র নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগ যেই লেজিটেমিসির সংকটে পড়েছিলো সেই সংকট এই নির্বাচনে আরো গভীর হল। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের উচিত হবে শাসক দলের এই নড়বড়ে লেজিটিমিসি আর নৈতিক অবস্থার মধ্যেই তারা যে আন্দোলনের কৌশল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, সেই আন্দোলনের একটা রূপরেখা দ্রুতই জাতির সামনে উপস্থাপন করা। ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে আওয়ামী লীগের কোন বিজয় হয়নি বরং ডিজ্যাস্ট্রাস নৈতিক পরাজয় হয়েছে যেই নৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ অদূর ভবিষ্যতে আর ফিরে পাবেনা। আমি তো বলি এই ফ্যাসিবাদী হাসিনার গদি এখন আর আসলে আন্দোলন-সংগ্রাম নয় বরং অস্ত্রহাতে দমন করা দরকার।
এদিকে ফেসবুক থেকে ডাক্তার পিনাকি ভট্টাচার্য্য এর মতামত অনুযায়ী “সেনাবাহিনীর, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এন এস আই এর উচিৎ ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী, “র” এর প্রভাব থেকে নিজেকে প্রথমে মুক্ত করা। হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করা ও কোর্ট মার্শালে দেয়া। তারপরই যা সেনাবাহিনীকে ও এন এস আই কে করতে হবে, তা হচ্ছে, হাসিনাকে টান দিয়ে গদি থেকে নামানো এবং তাকে পারলে ক্রসফায়ারে নিয়ে মেরে ফেলা।
এই একটি অমানুষ এই বাংলাদেশকে যেভাবে ক্রমাগত জ্বালিয়েছে, যেভাবে একের পর এক এই দেশটাকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে এবং যেভাবে এই দেশটাকে প্রতিটি সেক্টরে শেষ করে দিয়েছে, আমি বলব মোহাম্মদ আবু জোবায়ের রব্বানীর মত আমিও মনে করি শেখ হাসিনাকে তার বংশ সহ নির্বংশ করা দরকার। হাসিনার পরিবারে একটি ব্যাক্তি এই দেশে বেঁচে থাকা মানেই হচ্ছে, সামনের একটা অন্ধকার বাংলাদেশ দেখার সম্ভাবনা। আর সে কারনেই আমি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ও এন এস আই-কে বর্তমানের বাংলাদেশের দায়িত্বভার নিতে বলি, আমি বলি জনতাকে ঘর থেকে বের হয়ে আসতে। যার যা কিছু আছে সেসব সব কিছু নিয়েই এই খুনী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসা উচিৎ প্রত্যেকটি বিবেকবান মানুষের।
এদিকে বি এন পি’র যুক্তরাজ্য শাখার মহিলা নেত্রী ও ঢাকা ৪৮ নাম্বার ওয়ার্ডের মহিলা দলের সভাপতি ইসরাত রশিদের মতে, “শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এক কথায় ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত করেছে। এই বাংলাদেশে এখন শুধু ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আস্ফালন ও তাদের হুমুকেই চলছে দেশ। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে হাসিনাকে গদি থেকে নামানো ছাড়া কোনো পথ নেই আর সে জন্য দরকার হলে ৭৫ এর মত বিল্পব করতে হবে এবং তা স্বপরিবারে। হাসিনা ও তার পুরো পরিবারকে আইনের আওতায় না আনলে এই দেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না, হয়ে যাবে ভারতের বি টিম। সাম্প্রতিক সময়ে হাসিনার যে পায়ু পথের ক্যান্সার হয়েছে সেটি প্রাকৃতিক ন্যায়বিচার বলে আমি মনে করি। অন্যায় করলে আর পাপ করলে তা বাপকেও ছাড়ে না এটা তারই প্রমাণ। হাসিনাকে গদি থেকে সরাবার জন্য আমি আমার প্রাণ দিতে প্রস্তুত।”
আরেক একটিভিস্ট মোহাম্মদ রাশেদুল আলমের মতে মতে এই সরকারকে গদি থেকে নামাবার জন্য দরকার সেনাবাহিনী, এন এস আই ও র্যাবের দেশ প্রেমের ভেতর আহবান। সেনাবাহিনীকে জাগিয়ে তুলতে পারলেই কেল্লা ফতে বাজিমাৎ। হাসিনাকে তার বাবার মত নিঃশেষ করে দিতে পারলেই বাংলাদেশ পুনরায় স্বাধীন দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। একই কথার রেশ টেনে ধরে বি এন পি মহাসচিব মির্যা ফখরুল ইসলাম আলমগীরীর জামাতা ফাহাম আব্দুস সালাম তাঁর ফেসবুকে বলেন, “হাসিনাকে আসলে পররাষ্ট্রনৈতিক একটা সংকটে ফেলতে হবে। একা করে দিতে হবে ওকে। এই একা হয়ে গেলেই সেনাবাহিনীর পক্ষে ক্যু করাটা সহজ থেকে সহজতর হবে”। তিনি বলেন, হাসিনা এখন চরম লেজিটেমেসি সংকটে। সব শেষে কাওয়সার হামিদ তো বলেই বসলেন বাংলাদেশ র্যাবের ভেতর থেকে বেঞ্জীরকে নির্মূল করে দিন, তাকে বিদেশীদের দিয়ে চাপ দিয়ে আটক করুন, আর্মি কে অর্থায়ন বন্ধ করে দিন আর ডিজি এফ আইকে পংগু করে দিন দেখবেন হাসিনার গদি শেষ”
তিনি ফেসবুকে আরো বলেন যে, “চিন্তা করে দেখেন একটা দেশ বলতেছে তার ১৯ লাখ মানুষ তাদের না, ইমপ্লাই করতেছে যে এরা অন্য দেশের আদম, আর সেই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলতেছে এতে উদ্বেগের কোনো কারণ নাই। কোন ধরনের ভোকচোদ দেশটা চালাইতেছে একটু চিন্তা করেন”
সব শেষে এই লেখার লেখক হিসেবে আমার (এম ডি ওমর ফারুক) এবং আমার সহকর্মী ও সহ লেখক, আমড়া দুইজনই মনে করি আসলে দিন শেষে স্বাধীনতা সকলেই চায়। আর কত নৈরাজ্য? আর কত এই সরকারের অত্যাচার? এই সরকারকে তথা হাসিনাকে উৎখাত করেই নতুন করে ছিনিয়ে আনতে হবে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা।
তবেই মুক্তি হবে আমাদের, তবেই আমরা একটি ভারত মুক্ত স্বাধীন দেশ পাব।
লেখক: এম ডি এনামুল হক ও এম ডি ওমর ফারুক