আমাদের প্রজন্মের একজন হতভাগা সাংবাদিক কাজল আজ দীর্ঘ ৯ মাস পর মুক্তি পেলেন। প্রায় নয় মাস আগে সাংবাদিক কাজলকে তাঁর অফিসের সামনে তাঁরই নিজের মোটরসাইকেলে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু ব্যক্তি ট্র্যাকিং ডিভাইস বসায়।
পরবর্তীতে তাকে ট্র্যাকিং ডিভাইসের মাধ্যমে তাঁর লোকেশন ট্রেস করে এক পর্যায়ে গুম করা হয়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভারতের সীমান্তে। এবং গুম হওয়ার প্রায় মাস খানেক পর তাকে ভারতের সীমান্ত থেকে উদ্ধার করার নাটকও আমরা দেখেছি। ভারতের সীমান্ত দিয়ে কাজলের নিজ দেশে অবৈধ প্রবেশের বিষয়টি যে একটা সাজানো নাটক ছিল তা বোধ করি সবাই ইতিমধ্যে বুঝে ফেলেছেন।
কিন্তু যেহেতু ঘটনাটি ঘটিয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, তাই বাংলাদেশের জনগণ সব কিছু টের পেলেও মুখে কিছুই বলতে পারছেন না, মূলত আওয়ামী জালেম সরকারের ভয়ে। কারন বাংলাদেশে বসে আওয়ামীলীগ সরকার কিংবা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তেতো সত্য গুলো তুলে ধরতে গেলেই হতে হবে হত্যার শিকার অথবা গুম করে ফেলা হবে। তাই ভয়েই কেউ মুখ খুলছেন না।
বর্তমান আওয়ামী জালেম সরকারের শাসনামলে সত্য বলাটা এক প্রকার আত্মঘাতী। অনেকটা যেন নিষিদ্ধ বিষয়। তাই কেউ ভয়ে কিছু বলেন না। কিছু বলতে গেলেই তো তুলে নিয়ে যাবে, হত্যা করে ফেলবে, অথবা গুম করে ফেলবে।
কিন্তু আমাদের সত্য বলতে হবে। আমাদের নতুন করে জাগতে হবে। নবজাগরণ যে খুবই প্রয়োজন! বাংলাদেশকে এই জালেম সরকারের হাত থেকে বাঁচাতে হলে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতেই হবে। নাহলে আমরা কখনওই আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবো না।
রণ শিকদাররা কিভাবে ব্যাংক ম্যানেজারকে গুলি করে দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে পারে? হাজার কোটি টাকা দূর্নীতি করেই বা কিভাবে দরবেশ বাবা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হয়? দিনের শেষে আমার শূন্যতা টা তো আমি টের পাই। দিনের শেষে তো আমি বুঝি উন্নয়নের সাথে সাথে লুটপাট আর দূর্নীতিটা ঠিক কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে?
তাই আসুন সবাই মিলে এসব গুম-খুন-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। বর্তমান তরুণ সমাজের সময় এসেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, দুর্নীতি মুক্ত রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ উপহার দিতে হলে আমাদের সবাইকে সমস্বরে মাঠে নামতে হবে।