জাপানের সেরা তরুণ বিজ্ঞানী নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের আরিফ হোসেন

২০১৯ সালের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিলো বাংলাদেশের তরুন বিজ্ঞানী ডা. আরিফ হোসেনের দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা। তিনি প্রথম বিদেশি হিসেবে জাপানের সেরা তরুণ বিজ্ঞানী নির্বাচিত হয়েছেন। জাপানিজ সোসাইটি অব ইনহেরিটেড মেটাবোলিক ডিজঅর্ডার ২৪ অক্টোবর, ২০১৯ সালে তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করে। লাইসোসোমাল রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা উদ্ভাবনের জন্য জাপানের সেরা তরুণ বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন। জাপানের ৬১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও বিদেশিকে এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করা হয়।

ডা. আরিফ হোসেনের জন্ম গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়ার খুব সাধারণ পরিবারে। ১১ ভাইবোনের মধ্যে ডা. আরিফ হোসেন সবার ছোট। তিনি গ্রামের স্কুলে এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এরপর ঢাকার মিরপুর বাঙলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে প্রথমে এমবিবিএস পাস করে একই প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু বিভাগে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করেন।

ডা. আরিফ হোসেন জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি শিশু নিউরো-মেটাবলিক রোগে ক্লিনিক্যাল ফেলোশিপও করেন। বর্তমানে তিনি নিউরো-মেটাবলিক রোগের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ওই রোগের বিশেষজ্ঞ হিসেবে জাপানে সিনিয়র গবেষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

‘লাইসোসোমাল রোগের’ প্রভাব, বিস্তার এবং চিকিৎসা আবিষ্কারের জন্য তাকে এই সন্মানে ভূষিত করা হয় যা বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে অবিস্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে। সুথুমু টাকাহাশীর সভাপতিত্বে জাপানের আকিটা ক্যাসটল হোটেলে তিনদিন ব্যাপী চলা একটি সম্মেলনে তাকে এই সেরা তরুণ বিজ্ঞানীর ঘোষনা দেওয়া হয়।

যেহেতু তিনি নিউরো-মেটাবলিক রোগের বিশেষজ্ঞ তাই এই সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিউরো-মেটাবলিক রোগ সাধারণত জেনেটিক কারণে হয়। তার মানে হল, মায়ের পেট থেকে শিশু জিনে ত্রুটি নিয়ে বের হয়, পরবর্তীতে ব্রেন, লিভার, কিডনি, হার্টসহ নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়, কিন্তু এদের চিকিৎসা এবং গবেষণা খুব কম হয়েছে। 
 ডা. আরিফের এই অর্জন শুধু তাকেই নয় আলোকিত, সন্মানিত করেছে গোটা বাংলাদেশকে।

You may also like...

Read previous post:
সরকারী মদদে আবরার ফাহাদের হত্যা

আমাদের অতি চালাক পুলিশ বাহিনী নিজেরাই প্রমাণ করে দিচ্ছে আবরারের হত্যা একটি পরিকল্পিত সরকারি মিশন। আসুন, দেখি কীভাবে সেই সত্যটা...

Close