বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন এক কালো কৌশলে মেতে উঠেছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কিছুদিন ধরে দেশের জনপ্রিয় পত্রিকা প্রথম আলো, অনলাইন পোর্টাল বিডিনিউজ সহ বড় বড় দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সন ও অনলাইন পোর্টালগুলোতে নানা ভুয়া ভিত্তিহীন নিউজ দেখে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছিল। সাংবদিকতার নুন্যতম রীতি রেওয়াজও দৃশ্যমান হচ্ছিল না সে সব প্রতিবেদনে। পরে দেখা গেল সেটা আওয়ামী লীগের খেল। পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সনের আদলে নকল পেইজ ও সাইট বানিয়ে তাতে এইসব গাজাখুরি সংবাদ প্রচার করা হচ্ছিল। পরিকল্পিত প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছিল সরকারের পক্ষে এবং বিরোধীদলের প্রতিকূলে। এই নকলের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বিরোধী দলীয় অনেক নেতার ফেসবুক একাউন্ট বা পেজও।
বব মার্লের কথাটা নিশ্চয় শুনেছেন- “কিছু মানুষকে কিছু সময়ের জন্য বোকা বানানো যায় কিন্তু সব মানুষকে সবসময় বোকা বানানো যায় না।” গুজবের মাধ্যমে দেশের মানুষকে বোকা বানাতে গিয়ে রাম ধরা খেয়েছে আওয়ামী লীগ। এইবার খোদ ফেসবুকই ‘গুজব’ ছড়ানোর পিছনে কারা, তাদের ধরে ফেললো! আজ ফেসবুকের সাইবার সিকিওরিটি পলিসির প্রধান নাথানিয়েল গ্লিচার এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সাথে বিশেষ সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত ১৫ টি একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। যার মাঝে ৯ টি পেইজ স্বনামধন্য সংবাদপত্র ও ৬ টি একাউন্ট বিরোধীদলীয় নেতাদের একাউন্টের নকল। নাথানিয়েল গ্লিচার বলেছেন, তারা তদন্ত করে দেখেছেন যে এই সকল পেইজ ও একাউন্ট সরকারী মদদে পরিচালিত হচ্ছিলো ।
কথায় আছে ধর্মের ঢোল বাতাসে বাজে। এখানেও হয়েছে তেমনটি। ফেসবুক কতৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে এই সকল একাউন্ট থেকে ‘খালেদা জিয়ার দলের ভেতর অস্থিরতা’ মূলক – ভুয়া সংবাদ ছড়ানো হচ্ছিল। গ্লিচার বলছেন- “বাংলাদেশে এই ভুয়া একাউন্ট/পেইজের সংখ্যাটা ছোট হতে পারে তবে এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ন, কেননা কোন ব্যক্তি বা সংগঠন অন্যদের বিভ্রান্ত করছে- এটা আমরা হতে দিতে পারি না।”
যে সরকার কথায় কথায় গুজবের দোহাই দেয় তাঁরাই ধরা খেয়েছে গুজবের জালে। আসুন, গুজব সরকারকে সমবেদনা জানাই!