সৌভাগ্যের বরপুত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর?

কলেজ জীবনে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে শিক্ষক ছিলেন বর্তমান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শিক্ষক থাকাকালে তিনি  অর্থনীতি পড়াতেন।

প্রশ্ন তো চাইলেই তোলা যায়। বিশেষ করে রাজনীতিতে। ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আর তাদের উচ্ছিষ্ট ভোগীরা প্রায় প্রশ্ন তোলেন। তাদের প্রশ্ন তোলার সবচেয়ে সহজ ক্ষেত্রটা মুক্তিযুদ্ধ। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি কি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন?

মির্জা আলমগীর কি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, নাকি ছিলেন না – এই বিষয়ে শুধুমাত্র তারাই সন্দেহ প্রকাশ করতে পারে- যারা কাদের সিদ্দিকীর মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও তাচ্ছিল্য করে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের আইকন হিসেবে চেনে ‘ট্রেঞ্চোদ’ প্রফেসর জেডবালকে (নিজের আপন ভাই হুমায়ুন আহমেদের ভাষায় মুক্তিযুদ্ধের সময় যে লুকিয়ে ছিলো গর্তে), বা পাকবাহিনীর মুরগীসাপ্লাইয়ার এস্কোবিরের মুখে। যারা যুদ্ধের গল্প শোনে… যারা যুদ্ধ করেছে সোনাগাছি সেক্টরে। আর জেড ফোর্সের প্রধান জিয়াউর রহমানের যুদ্ধ নিয়েও যারা সন্দেহপ্রকাশ করে। যারা গোলাম আজমের পোষ্যপূত্র খ্যাত নদভীকে (যার শ্বশুর জামায়াতের মনোনয়নে বারবার নির্বাচন করেছে) মনোনয়ন দেয়। যুদ্ধাপরাধী ফয়জুর রহমানের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা সর্বপ্রথম উড়তে দেয়…। এবং যারা রাজাকারের পরিবারে মেয়ে বিয়ে দেয় কিন্তু বারোমাস চেতনার তুবড়ি ছোটায়!

যারা মুক্তিযুদ্ধে মির্জা আলমগীরের ভূমিকা নিয়ে মনে প্রশ্ন তারা একটি কাজ করতে পারেন। ঘুরে আসতে পারেন ঠাকুরগাঁও জেলা তথ্য বাতায়ন। সেখানে মির্জা আলমগীরের ভূমিকা মুদ্রিত আছে।

You may also like...

Read previous post:
আওয়ামী লীগ যুদ্ধাপরাধীদের মুল আশ্রয়স্থল

যুগ যুগ ধরে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে আসলেও আওয়ামী লীগ বরাবরই অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে বিএনপি জামায়াতের দিকে। ....

Close