বাংলাদেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা কমছে না৷ নভেম্বরেই অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন৷ মানবাধিকারকর্মী ও বিশেষজ্ঞদের মতে সরকারের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে ক্রসফায়ারের পক্ষে এক ধরনের অবস্থান আছে৷ যে কারণে এমন ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না৷
ক্রসফায়ারের সাথে আওয়ামীলীগ জড়িত তার সরাসরি স্বীকারোক্তি। এইজন্য দলের শীর্ষ নেত্রীও ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।
মনোনয়ন পেতে নানা কৌশল আওয়ামী লীগে
আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে এখন থেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন সাভার-১৯ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তিনটি গ্রুপে বিভক্ত এখানকার আওয়ামী লীগ। একটি গ্রুপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান এমপি ডা. এনামুর রহমান। অপর দুটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন সাবেক এমপি মুরাদ জং ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন। তবে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন এনামুর রহমান ও মুরাদ জং।
মুরাদ জং হচ্ছেন রানা প্লাজার সেই কুখ্যাত খুনি রানা। যার জন্য কয়েক হাজার পোশাক শ্রমিক এখনো পঙ্গু , নিখোঁজ , কতজন নিহত হয়েছেন তা অজানা। এমনকি এর পর সেই রেশমা নাটক।
৫ জনকে ক্রসফায়ার দিয়েছি, ১৪ জনের লিস্ট করেছি: ডা. এনামুর রহমান
এদিকে সাভারের বর্তমান এমপি ডা. এনামুর রহমান নির্বাচনী এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মোবাইল ফোনে মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, সাভারে অনেক ক্যাডার আর মাস্তান ছিল।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের এক প্রতিবেদনে অবিলম্বে ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ বন্ধে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে৷ তাদের হিসাবে গত বছর বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূতভাবে মোট ৪৬৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে৷ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঘোষিত ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে৷ অ্যামনেস্টি বলছে, এসব ঘটনার যথাযথ তদন্ত না করে সরকার বন্দুকযুদ্ধ, ক্রসফায়ারকে উল্টো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে৷ পুলিশ এইসব ঘটনায় বানোয়াট প্রত্যক্ষদর্শী তৈরি করে তাদের কাছ থেকে মিথ্যা বিবৃতি আদায় করছে বলেও অভিযোগ সংস্থাটির৷
এখন সব পানি হয়ে গেছে। কারও টুঁ শব্দ করার সাহস নেই। ৫ জনকে ক্রসফায়ারে দিয়েছি আরো ১৪ জনের লিস্ট করেছি। সব ঠাণ্ডা। লিস্ট করার পর যে দু’একজন ছিল তারা আমার পা ধরে বলেছে, আমাকে জানে মাইরেন না আমরা ভালো হয়ে যাবো। (ডা. এনামুর রহমানের বক্তব্যের রেকর্ড রয়েছে আমাদের কাছে।)