পল ম্যাসন (Paul Mason) মনে করেন, আমরা ইতোমধ্যেই “পুঁজিবাদউত্তর” (PostCapitalism) সমাজে চলে এসেছি। সমাজতন্ত্র বা সাম্যবাদ হওয়ার জন্য যে প্রযুক্তির ও সম্পদের বিকাশ দরকার, যেখানে “প্রয়োজন অনুযায়ী পাবে, যোগ্যতা অনুযায়ী দেবে”, ব্যাক্তি মালিকানা হবে সামাজিক মালিকানা, প্রথাগত বাজার বিলুপ্ত হবে,- এই বাস্তব অবস্থা তৈরি ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে।
অবশ্যই এখনো বৈষম্য আছে, রাষ্ট্র আছে, তাই পুঁজিবাদ একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। কিন্তু আগের পুঁজিবাদ আর নেই। কিভাবে এই মৃত্যুমুখীন পুঁজিবাদ শ্মশানে যাবে? না, সেটাও বামপন্থীদের “বিপ্লবের” মাধ্যমে নয়ঃ
“Capitalism, it turns out, will not be abolished by forced-march techniques. It will be abolished by creating something more dynamic that exists, at first, almost unseen within the old system, but which will break through, reshaping the economy around new values and behaviours.”
মানে, পুঁজিবাদ জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো, আর জঙ্গিমিছিল দিয়ে বিলুপ্ত করা যাবেনা। এটা হবে, পুরনো ব্যাবস্থার মধ্যে, পুরনোটার চেয়ে গতিশীল এমন কিছু সৃষ্টি করে, যা প্রায় অদৃশ্য, কিন্তু এর আবির্ভাব অর্থনিতিকে রূপান্তর করবে নোতুন মূল্যবোধ ও আচরণের সমন্বয়ে।
তাহলে কি দরকার? সৃজনশীল কিছু, চলমান যা রয়েছে তার চেয়ে ভিন্ন কিছু, বিকশিত কিছু, মানবিক বিকল্প তৈরি, প্রথমে চিন্তায়, পরে চর্চায়। আমি আসলে শিক্ষাব্যাবস্থার রূপান্তর নিয়ে ভাবছি।