জাতি হিসাবে আমরা

১. সংবাদ মাধ্যম চরমভাবে সেন্সরশিপ করবেন, সংবাদকর্মীর ক্যামেরা ভাংবেন, নারী সাংবাদিকদের মলেস্ট করবেন, ইন্টারনেট বন্ধ করবেন, গুজব তো ছড়াবেই। সেই গুজব কে কেমনে ভাইরাল করল, সেই ডিফারেন্সিয়াল ইকুয়েশন সলভ না করে বরং মানুষের টুটি চেপে ধরে রাখা বন্ধ করেন।

২. যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও শিশু কিশোরদের গায়ে হাত দেয়া যায়না, আর এখানে তো কোনো যুদ্ধ চলছে না। কোনো বাচ্চা মারা যায়নি বা রেইপ হয়নি, এইটা যেমন সত্য, তেমনি বাচ্চাদের দিকে হেলমেটধারী সন্ত্রাসীর গুলি ছোড়া, লাঠি সোটা নিয়ে তাড়া করা, কুপিয়ে রক্তাক্ত করা, মেয়েদের গায়ে হাত দেয়া, এগুলোও সত্য। ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করতে নেমে দেশের কিশোরদের বেঘোরে না মরা বা কিশোরীদের রেইপ না হওয়াটাই যদি সরকার আদর্শ আচরণের দৃষ্টান্ত হিসাবে গণ্য করে, তাহলে বুঝা যায় সরকারের নিজেরাই নিজেদের ব্যাপারেই বড় নিচু ধারণা পোষণ করেন।

৩. রাজনৈতিক দল যেকোনো পরিস্থিতিতে ফায়দা লুটার চেষ্টা করবে। এত বড় একটা আন্দোলনের সুযোগ বিম্পি জামাত বাম সবাই নিতে চাবে, সেটাই স্বাভাবিক। এদের নিয়ে কাহিনী শুনায় লাভ নাই মানুষকে। আপনারা সরকারে থেকে কি কি করছেন, সেটার গুরুত্ব অনেক বেশি।

৪. বাচ্চা ছেলেগুলো বাসায় ফিরে যাক ভালয় ভালয়, সবারই তাই চাওয়া। কিন্তু রাস্তায় তাদের উপর আক্রমণকারীদের বিচার করবে কে? তাদের দাবি মেনে নেয়া হবে তারা চলে গেলে, তাদের হয়রানি করা হবেনা, এমন নিশ্চয়তা কে দেবে? যে দেবে, তাঁর বা তাঁদের কথার উপর কতটুকু ভরসা করা যায়?

শেষ কথা, জাতি হিসাবে আমরা এমনই হ্যাডমলেস যে আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করতে টিন এজারদের নামতে হয় রাস্তায়, আমরা শুধু পারি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লুকিয়ে থাকতে আর যারা সাহস করে সামনে যায়, তাদের পিছু ডাকতে। ওরা ঘরে ফিরবে নিশ্চয়ই, আপনারা নামবেন?

You may also like...

Read previous post:
ঢাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর যুবলীগের ন্যাক্কারজনজ হামলা

ঢাকায় ধানমণ্ডির জিগাতলা এলাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশ। হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা সেখানে...

Close