১৯৯৯ সালে সাঈদী লন্ডনে বসবাসরত সিলেটী অভিবাসী সাধারণ নাগরিকদের কাছে জুতাপেটার মুখোমুখি হয়। ‘৯৯ সালের ১৫ জুলাই সাঈদী ওল্ডহামের কুইন এলিজাবেথ হলের এক সভায় বলে যে সিলেটি সম্মানিত অধিবাসীরা লন্ডনে যদি না আসত তবে বাংলাদেশে তারা নাকি রিকশাচালক /ড্রাইভার এর কাজ করত ,সাঈদী আরো বলে যে, এখানে বসবাসরত মেয়েরা ইউনিভার্সিটি যাবার নাম করে কি করছে কোথায় যাচ্ছে, কাদের সাথে বাইরে থাকছে, তা তাদের অভিভাবকেরা নাকি খোঁজ নেন না। সাঈদী আরো বলে যে এই লন্ডনের মেয়েরা এতই পাতলা কাপড় পড়ে যাতে তাদের শরীর দেখা যায় এবং শরীরের গভীর ভাঁজ গুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে যা নিদারুন পীড়াদায়ক। এইসব কাপড় নাকি হিন্দু মেয়েরাও পরে না। সাঈদী আরো বলে যে এই দেশের ৯০ ভাগ মেয়েদের নাকি বয় ফ্রেন্ড আছে আর তাদের সাথেই বিয়ের আগে একই ঘোরে বাস করে বলে তার কাছে তথ্য আছে।
ভাবতে পারেন এইগুলো শোনার পর সবার অবস্থা কি হয়েছিল? সভাতে এইসব কথা বলার সাথে সাথেই সাঈদীর ওয়াজ শুনতে আসা ধর্মপ্রাণ ব্যাক্তিরা সাঈদীর দিকে জুতা ছুঁড়ে মারে , ক্ষোভে ফেটে পরে আর সাঈদীকে মারতে উদ্যত হয়। এসময় জামাত-শিবিরের কর্মীরা সেখান থেকে সাঈদীকে রক্ষা করে আর ওই লম্পট কে সরিয়ে নেয়।
অসভ্য নির্লজ্জ এই হারামজাদা, এই ঘটনার কিছুদিন পর একটা সংবাদ সম্মেলন ডাকে এবং সেখানে বলে, সে যা বলেছে ঠিক বলেছে। ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। সে কেন ক্ষমা চাইবে?
বাঙ্গালি কমিউনিটি তখন এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পরে। তার কাছে যখন জানতে চাওয়া হয় এসব খবরের সত্যতার কথা সে রেগে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহজাহান লিখেন লন্ডনের সাপ্তাহিক সুরমায় ২৬ আগস্ট ‘৯৯ সালে পুরো ব্যাপারটি। লন্ডন এর আবহাওয়া তখন উত্তাল। সময় সুবিধার না ভেবে এই ঘটনার পর সাঈদীকে রাতের আঁধারে চুপিসারে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় জামাতিদের দালালরা।
কিন্তু আবার যখন ২০০৬ সালে লন্ডনে এসে সাঈদী ইংল্যান্ড এবং আমেরিকা নিয়ে কটুক্তি করে ঢালাও ভাবে দোষ দিয়ে এবং এই দুইটি দেশ বোমা হামলা ডিজার্ভ করে বলে, তখন ২০০১ সালে এমন কথার প্রেক্ষিতে ইংলিশ মিডিয়া সাঈদীর ভিসা বাতিলের আবেদন জানায়।
লম্পট সাঈদীকে কানাডার টরেন্টোতে জুতাপেটা করা হয় ২০০৪ সালে, নাহার মনিকা নামে এক ভদ্রমহিলার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেয়া। যিনি বর্ণনা করেছেন এভাবে-
“সময়টা ২০০৪ সাল। সাঈদী মন্ট্রিয়ালের মসজিদে ওয়াজ-মাহফিল করতে এলে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। তার ওপরে জুতাও ছুড়ে মারা হয়েছিল। আমাদের মেয়ে চারণ-চিত্রণ স্লোগান শিখেছিল- ‘সাঈদীর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’… সেই প্রথম স্লোগান আর ভুললো না