হায় এ+, হায় শিক্ষা ব্যাবস্থা!

ভিডিও টি দেখে অত্যন্ত মনকষ্টে ভুগছি। দেশ থেকে এত বছর দূরে থেকেও ইতিহাস কে ভুলে যাইনি। এ+ পাওয়া ছেলে মেয়েগুলো ইতিহাস সম্পর্কে, বাংলাদেশের অস্তিত্ব সম্পর্কে কোন ধারনাই রাখে না ভেবে নিদারুন মনকষ্টে আছি। বার বার অপারেশন সার্চ লাইট, বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শহীদ মিনারের অবস্থান, স্মৃতি সৌধের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন গুলো বারি খেয়ে খেয়ে সামনে চলে আসছে।

আমি শিক্ষার্থীদের দোষ দিচ্ছি না। আমি দোষ দিচ্ছি তাদের পিতা মাতা এবং শিক্ষকদের। যখন স্কুলের হেডমাস্টারই জানেন না সাত জন বীর শ্রেষ্ঠের নাম, তখন বলার আসলেই কিছু থাকে না! আমাদের শিক্ষকগণ, যারা মানুষ গড়ার কারিগর, আপনাদের উপর বড়ই হতাশ হই। আপনারাই তো আমাদের কে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিয়েছেন। আফসোস হয়, আপনারা আসলেই কি দায়িত্ব নিয়ে পড়াচ্ছেন? বাবা মায়ের পরেই আপনাদের স্থান। আমরা আপনাদের কাছে সন্তানতুল্য, আপনাদের উপর যেমন আমাদের অগাধ বিশ্বাস সেই সাথে আমাদের ভবিষ্যৎও আপনাদের হাতে। দয়া করে এই বিশ্বাস টুকু ভেঙ্গে দিয়ে শুধু এ+ পাওয়ার জন্য শুধু সিলেবাস ধরে ধরে না, এর বাইরে যে মৌলিক শিক্ষা সেই শিক্ষায়ও শিক্ষিত করুন। সব কিছু মেনে নিলাম কিন্তু আমার দেশের জন্মের ইতিহাস আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসই যদি না জানি এত ডিগ্রি,এত পাশ, এত হাই মার্কস দিয়ে হবেই বা কি? জীবনটা ১৬ আনাই বৃথা হয়ে যায় যদি নিজের দেশের জন্ম তথ্যই না জানি, না শিখি।

হায় শিক্ষা! শিক্ষার দাম, যেমন প্রাইভেট টিউশন আর কোচিং এর নামে মাসে মাসে আপনারা আপনাদের পকেট ভারি করছেন সেইরকম ভাবে শিক্ষার্থীদের আইকিউ লেভেলও তো বাড়া উচিৎ। আপনারা আরও দায়িত্বশীল হয়ে আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন। আপনারাই তো মানুষ গড়ার কারিগর। আপনাদের উপর আমাদের আস্থা। এত ত্যাগ এর বিনিময়ে পাওয়া দেশটার ইতিহাস হারিয়ে যাচ্ছে। হায় এ+, হায় শিক্ষা ব্যাবস্থা!

You may also like...

Read previous post:
আমি কেন অজ্ঞেয়বাদী?

নাস্তিকতা এবং অজ্ঞেয়বাদ শুনতে একই রকম শুনালেও কিছু পার্থক্য লক্ষনীয়। ধর্মের ত্রুটি নিয়ে কথা বললে সবাই তার উপরে একটি সাইনবোর্ড...

Close