১১ টা জীবন এভাবে নষ্ট করতে পারি না

অদ্ভুত একটা দেশ আমাদের। পাঠ্যপুস্তকে ঠিকই পড়াবে শাহজাহান-মমতাজের প্রেম-কাহিনী খালি পরীক্ষায় খাতায় লিখে নম্বর পাওয়ার জন্য আর কেউ সত্যিকারের প্রেম করলে তাকে বহিষ্কৃত করা হবে। কি আজব নিয়ম। চুরি করবা,ঘুষ খাইবা সব গোপনে খালি মন খুলে প্রেম করলে শাস্তি পাইতে হবে সাথে সাথে।কি দারুণ।

কিসের ভিত্তিতে ঢাকা কমার্স কলেজ এই ১১জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করলো তার জবাব তাদের দেয়া উচিত। আমাদের দেশের কোন আইনে লিখিত নেই যে প্রেম করা ট্যাবুর পর্যায়ে পড়ে। সাংবাদিক ভাই-বোনদের বিনীত অনুরোধ করবো এই বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে, প্লিজ….।আমরা কারো জীবন এভাবে নষ্ট করতে পারি না।

দেশটাকে একদম বাংলাস্থান করে ফেলতেসে। ভালবাসার জন্য বহিষ্কার করলেও কি ভালবাসা কে আটকানো যায়? আমি তো এখানে কোন অপরাধ দেখি না। কলেজ পড়ুয়া আমরা সবাই তো প্রেমের অনুভুতিতে একসময় মনের গভীরে এই রকম অনুভুতি লুকিয়ে রেখেছিলাম।

আজও হঠাৎ প্রথম প্রেমের স্মৃতি মনে পরলে আপন মনে হেসে উঠি। আমিও বিশ্বাস করি আপনারাও হেসে উঠবেন।প্রথম ভাল লাগা, প্রথম বার কারো হাত ধরা, বা পড়ার চাপে অস্থির হয়ে আলতো করে কারো বুকে মাথা রাখা আর পরম যত্নে কাছের মানুষের হাত টা যখন ঠিক মাথার উপরে এসে পরত আর আশ্বস্ত করত যে আমি সাথেই আছি, চিন্তা কি! অদ্ভুত রকমের ভাল লাগা কাজ করত। আপনাদের ও নিশ্চয়ই এরকম অনেক অনেক গল্প আছে।

আমি নিশ্চিত কমার্স কলেজের শিক্ষক আর শিক্ষিকা এবং অধ্যক্ষ সবাই এই রকম প্রেমের অনুভুতি মনের গভিরেই লালন করেন।তাহলে এরকম একটা ন্যাকারজনক একটা কাজ কি করে করতে পারলেন? এইভাবে বহিষ্কার করে কি প্রেম পাগলাদের লাইনে আনা যায়? প্রেম তো শাশ্বত। এই অনুভুতি নষ্ট হবে না। সৃষ্টি কর্তাও প্রেম কে সবার উপরেই রেখেছেন। আর আমরা তো নিমিত্ত মাত্র।

You may also like...

Read previous post:
Hasina’s Dirty Politics

My head hurts. It has been nagging me like that for the past three days. I had migraine pain issues...

Close