পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বর আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যে গণহত্যাগুলি হয়েছে সেই তালিকাতে তিন নম্বরে আছে আমাদের বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এর গণহত্যা। ইতিহাস সাক্ষী , সমস্ত রিসার্চ সাক্ষী, তৎকালীন গণমাধ্যম, সংবাদ পত্রে ফলাও করে ইতিহাস চিৎকার করে বলছে এর সত্যতার কথা। ইতিহাস বিকৃত করে ইতিহাস কে অস্বীকার করার দুঃসাহস করলে আবারো যুদ্ধ হবে। জামাতি রাজনৈতিক চক্রান্ত সমূলে ধ্বংস করা হবে। মিথ্যা প্রোপাগান্ডা আর এই সকল তামাশা বন্ধ করো সময় থাকতেই। দালাল, চণ্ডাল সব পাকিস্তানে ফেরত যাও।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, হিটলার আর স্ট্যালিনের পরেই রয়েছে হানাদার পাক বাহিনী আর রাজাকার, আলবদরদের নাম। সাথে সকল দালাল চণ্ডালদের নাম। কোন বাপের বেটার সাধ্য নাই ইতিহাস বিকৃত করার। যতই লাফালাফি করো আর ছাগুমি করো না কেন , দুনিয়ার কোন ত্যানা ,ন্যাকরা, আর পায়জামার দড়ি দিয়েই পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তর এই গণহত্যা বা তার বিচারের সামান্য অংশও ঢাকা দেয়া সম্ভব না। অতীত ভুলে সামনে আগানোর ত্যানা ,ন্যাকরা, আর পায়জামার দড়ি দিয়েও না। বহুত ইতরামি হইসে, আর কত? অতীতে যত জঘন্য খারাপ কাজ হইছে, বর্তমানেও যা হচ্ছে তারও ত্যানা ,ন্যাকরা, আর পায়জামার দড়ি দিয়ে ঢাকতে পারবা না। স্বচ্ছ, আন্তর্জাতিক, নিরপেক্ষতার ত্যানা , দিয়েও না। দালাল, চণ্ডাল, রাজাকারদের বিচার চাই কিন্তু আমার শরীরের ব্যথার ত্যানা দিয়েও না। পৃথিবীর কোন কিছুর সাথেই এই গণহত্যাকে মেশানো যায় না। এর যন্ত্রণা, এর জায়গা, এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক অনেক আলাদা। স্বাধীন সোনার বাংলা এই বাংলাদেশে জন্মে যদি এই গণহত্যার গুরুত্ব বুঝতে যদি কেউ অক্ষম হয় তবে সেটা তার ব্যর্থতা। আমাদের না। এই দায় ভার তার একান্ত নিজের। নিজের ভাগে করুণা ছারা কিছুই কুড়ালে না। ধিক! তোমাদের ধিক।
আর হ্যাঁ, সেইসাথে হানাদার পাকিদের গণহত্যার পর পরেই তালিকায় আছে তুরস্কের নাম। আর এই তুরস্ক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে অভিযোগ তুলে, ঢাকা থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে , আর এই নিয়ে জামাতি দালাল ছাগুরা যে ছাগুমি করতেসে, ভাল করে দেখ, এক দুই বার নয়, তিন বার আছে এই তুরস্কের নাম । সর্বোচ্চ হিসেবে আঠারো লাখ আর্মেনিয়ান, দশ লাখ গ্রীক আর সাড়ে সাত লাখ অ্যাসিরিয়ান মেরে এই তুর্কীর অটোম্যান এম্পায়ার যথাক্রমে তালিকার পঞ্চম, ষষ্ঠ আর অষ্টম স্থান দখল করে আছে মাথা উছু করে। ওরে লজ্জা রে! এই লজ্জা কই লুকাইবেন! হ্যাঁ বুঝলাম আপনারা নির্লজ্জ। উল্লেখ্য, এদের মাঝে আর্মেনিয়ান গণহত্যাকে এক কাঠি উপরে রাখা হয় কারণ এই গণহত্যার মাধ্যমে তারা প্রায় ৭৫ শতাংশ আর্মেনিয়ানকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। নাজিদের বেশ কাছাকাছি, হিটলার নিশ্চিহ্ন করেছিল ৭৮ শতাংশ ইহুদীকে। ওরে লজ্জা রে! ছিঃ ছিঃ ছিঃ
মোদ্দা কথা হইল, বাংলাদেশের গণহত্যার বিচার হলে গণহত্যার হেডমাস্টার তুরস্কের নিতম্ব জ্বলবে না তো কার জ্বলবে?
(তথ্যসূত্র – উইকিপিডিয়া, যেটা অবশ্যই শতভাগ সঠিক নয়। এখানে হত্যার সর্বোচ্চ হিসেব নিয়ে সাজানো হয়েছে। সর্বনিম্ন হিসেব নিলে তালিকার ক্রমে খানিক অদল বদল হবে।)