“আসতাগফিরুল্লাহ” সম্ভবত ইসলাম ধর্মে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সবচেয়ে কার্যকর একটি শব্দ। কোরান, হাদিস কিংবা ইসলামি পন্ডিতদের লেখা গ্রন্হগুলো বিজ্ঞান, দর্শন কিংবা যুক্তিবিদ্যার যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে ব্যর্থ, সে সব প্রশ্নের ইসলামি উত্তর হচ্ছে- “আসতাগফিরুল্লাহ”।
লন্ডনে বাঙলা ভাষায় কোরান না পড়া ২ জন সম্মানিত মডারেট মুসলমান বাঙালির সঙ্গে অনিচ্ছাকৃতভাবেই ধর্মীয় তর্কে জড়িয়ে পড়েছিলাম। ওনারা প্রথমেই স্বীকার করে নিয়েছেন- ওনারা বাঙলা ভাষায় কখনো কোরান পড়েননি। অথচ কোরানে অসংখ্য ভুল আছে- এটাও ওনারা মানতে রাজি নন।
কোরানে মহাবিশ্বের উদ্ভট বর্ণনা; সৌরজগতের গ্রহ, নক্ষত্র আর উপগ্রহ সম্পর্কে কোরানের হাস্যকর আয়াত; কাফের বিধর্মীদের প্রতি মুসলমানদেরকে অমানবিক আচরণের নির্দেশনা; ইসলামে নারীর অধিকার, ইসলামত্যাগীদের অধিকার, সমকামীদের অধিকার, মুসলিম রাষ্ট্রে অমুসলিমদের অধিকার; সর্বোপরি ইসলামে মানবাধিকার বিষয়ে কোরানের আয়াতগুলোর বাঙলা অর্থ আর আমার প্রতিটি প্রশ্নেই উত্তর ওনাদের কাছ থেকে পেয়েছি- “আসতাগফিরুল্লাহ”। আর ওনাদের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছিলো, যেনো আমি কোরানের আয়াতগুলো নিজে অনুবাদ করেছি, বানিয়ে মিথ্যা বলছি, অথবা কোরানে আসলে এমন কিছু নেই, আমার কাজই হচ্ছে ইসলামের বদনাম করে বেড়ানো।
আর শুধুই “আসতাগফিরুল্লাহ” উচ্চারণ করেই কাফেরদের দেশে বসবাস করে গণতান্ত্রিক, সামাজিক আর মানবিক অধিকার ভোগ করা দুই মুসলমান জিতে যাচ্ছিলেন তর্কে, পাচ্ছিলেন কোরান হাদিস না পড়া আরো দশজ মুসলমানের সমর্থন এবং হাততালি।
“আসতাগফিরুল্লাহ”ই যেনো ইসলামের বিরুদ্ধে সকল প্রশ্নের, সকল যুক্তির, সকল দার্শনিক বিতর্কের জবাবে এক শক্তিশালী মহৌষধ।
