প্রচন্ড ঠান্ডা একটা সপ্তাহ পার করছে ইয়োরোপ। কিন্তু, হিমাঙ্কের নীচে তাপমাত্রা, শীতল বাতাস আর ক্রমাগত তুষারপাত থামাতে পারেনি পরিশ্রমী ইয়োরোপিয়ানদের স্বাভাবিক জীবন আর প্রতিদিনকার কর্মব্যস্ততা। এই রকম শীতেও মাইনাস ১০, মাইনাস ২০, কিংবা মাইনাস ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ও ভোরের অন্ধকারে শতঃস্ফুর্তভাবে কাজে যেতে দেখা যায় ইয়োরোপিনদেরকে। মধ্য আর উত্তর ইয়োরোপের মানুষদের পরিশ্রমী জীবন স্বচক্ষে দেখলে বুঝতে অসুবিধা হয়না- এদের স্বচ্ছলতা আর দীর্ঘ জীবন অর্জনের পেছনের কারন কী থাকতে পারে। আর এই অন্ধকার ভোরে বরফভেঙ্গে কাজে এসে ফেসবুকে উঁকি দিয়েই জানলাম- স্বচ্ছলতা অর্জন আর দারিদ্র দূরীকরণের অন্যরকম আর আরো সহজ উপায়ও আছে পৃথিবীতে।
বিশ্বের সবচেয়ে অশিক্ষিত, অলস আর দূর্নীতিগ্রস্থ দেশ থেকে ইয়োরোপে আশ্রয় নিতে আসা কিছু মুসলমানরা ইয়োরোপের পরিশ্রমী মানুষদের ট্যাক্সের টাকায় সোশ্যাল বেনিফিট খেয়ে উষ্ণ ড্রইংরুমে বসে বসে ফেসবুকে প্রচার করছে,- “আপনার ঘরের দারিদ্র দূর করে স্বচ্ছলতা আনতে প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর অন্তত ১ বার হলেও আয়াতুল কুরসি পাঠ করুন।”
এই মূর্খদের কাজকর্ম দেখে বুঝা যায়- এতো কর্মঠ আর সৎ একটা সমাজ ব্যবস্থার সকল সুবিধা ভোগ করেও এরা উপলব্ধি করেনা- মানুষের স্বচ্ছলতা আর সফলতা অর্জনের পেছনে আয়াতুল কুরসির কোনো ভুমিকা নেই। আর মনে পড়ে আমার প্রিয় আহমদ শরীফ স্যারের সেই বিখ্যাত বাণী,- “ইসলাম টিকে থাকবে অশিক্ষিতদের মাঝে।”