বৈষম্য ও সহিংসতা ইহলৌকিক সমস্যা। সমাজবিজ্ঞান দিয়ে এই সমস্যা সমাধান না হলে, পারলৌকিক সমাধানের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস বাড়বে। যেমন, চিকিৎসা বিজ্ঞান কোন রোগের সমাধান দিতে না পারলে সাধারণ মানুষ পারলৌকিক চিন্তার আশ্রয় নেয়, পানিপড়া, তাবিজকবজ, মন্দিরে মানত ইত্যাদি করে।
আমাদের সামাজিক-রাজনৈতিক তথা ইহলৌকিক সমস্যা, বৈষম্য ও সহিংসতার সমাজবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও সমাধানসূত্র সামনে না এলে মৌলবাদের প্রয়োজনীয়তা থাকবে, এবং ধর্মজীবী শ্রেণীর উদ্ভব হবেই।
সমাজবিজ্ঞানের আলোয় বৈষম্য ও সহিংসতার কারণ ব্যাখ্যা ও সমাধান দেয়ার দায় ও যোগ্যতা বামপন্থার রয়েছ। কিন্তু এই ভূমিকা পালিত না হলে, সমাজে বৈষম্য ও সহিংসতা যেমন বাড়বে, তেমনি মৌলবাদী রাজনীতির (ভারতে বিজেপি, বাংলাদেশে বিএনপি-জামাতি, ওলামা-আওয়ামী, বামাতি) প্রভাব বাড়বে।
ধর্মগ্রন্থের মধ্যে ইহলৌকিক সমস্যা খোঁজা, ব্যাক্তি আক্রমণ, ইত্যাদি বাদ দিয়ে, বাংলাদেশে বিরাজমান বৈষম্য ও সহিংসতার কারণ ও সমাধান, সমাজবিজ্ঞানের পদ্ধতি দিয়ে ব্যাখ্যা করার প্রচেষ্টা একটি প্রধান কাজ হলে তা আমাদের সামনে এগুনোর পথ দেখাতে পারে।
সমাজবিজ্ঞান চর্চা নিয়ে একটু ভাবুন। দলবাজি আর দলঘৃনা বাদ দিয়ে সমাজবিজ্ঞানের আলোয়, বৈজ্ঞানিকের সততায়, সামাজিক সংকটকে বোঝার চেষ্টা করুন।