নেতৃত্ব, ক্ষমতা এবং সুবিধাবাদীরা অস্থায়ী হলেও দেশ, দল এবং এর সমর্থনকারীরা স্থায়ী।বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে এই দেশ বাংলাদেশ, আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক দল এবং এর অসংখ্য সমর্থনকারী। আওয়ামী সভা নেত্রী শেখ হাসিনার এমন কোন সিদ্ধান্ত বা কর্মপন্থা গ্রহণ করা উচিত নয় যার কারণে এর অনুসারীদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে।কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য যে শেখ হাসিনা সেই ধরনের আত্মঘাতী কার্যকলাপে নিমগ্ন।
খুবই তাজ্জবের ব্যাপার এতবড় দলে ‘সত্য’ কথাটা হাসিনার সামনে কেউ বলছেননা। অবশ্য এ ধরনের সত্যকথা শুনার ইচ্ছা হাসিনা ও তার বাবা কারোরই ছিলনা। আর ‘অজ্ঞাত’ কারণে একবার আওয়ামীলীগ সমর্থন করেছেন এমন লোক হাজারো কুকর্ম চর্মচক্ষে দেখার পরও লীগের পক্ষে সাফাই গাইতে থাকেন। এহেন মনোলিথিক দল আজকালকার যুগে বিরল। কিছু মানুষ নির্বোর্ধের মত জামাতে ইসলামীকে মৌলবাদি দল বলে লেখালেখি করে। তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি- এদেশের প্রধান মৌলবাদি দল আওয়ামীলীগ! অন্তত: মৌলবাদ শব্দটার মানে যদি আমরা বুঝে থাকি।
ভারত, র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, একাত্তর টিভি, মুন্নিসাহা ইত্যাদি ধরনের কিছু চরম গণবিবর্জিত ও গণভিত্তিহীন শক্তির জোরে হাসিনা আওয়ামীলীগকে কোটি-কোটি নিরস্ত্র মানুষের মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিয়েছেন। আমি বলছিনা যে, বিএনপি ও জামাতের মুখোমুখি! বরং জনগণের মুখোমুখি। করুণা হয় যে, এই সে আওয়ামীলীগ যারা ১৯৭০ সালে এ ভুখন্ডের প্রায় শতভাগ মানুষের প্রাণভোমরা ছিল। মুজিব ও তার সহচররা নির্ভয়ে বাংলার মাটি চষে বেড়িয়েছেন। অজানা গাঁয়ের লোক, বধুরা তাদের আত্নার আত্নীয় মনে করেছে। চিড়া, মুড়ি, নাড়ু দিয়ে আপ্যায়িত করেছে।
আজ সে আ’লীগ র্যাব, পুলিশের বেস্টনি পেরিয়ে আসুনতো দেখি খোলা ময়দানে?
কথা পরিস্কার। এদেশের মানুষ রাস্ট্রের কাছে বড় বড় রসগোল্লা চায়না, পায়ওনা! পাচঁ বছর পরপর তাদের যৎসামান্য কদর বাড়ে। একটা “ভোট” দিতে পারে। এ ভোট হাসিনার ও ১টা, খালেদারও ১ টা, আব্দুল আউয়াল মিন্টুরও ১টা, রিকশাচালক আইজুদ্দিনেরও ১টা। অন্তত: এ একটা ইভেন্টে সবাই সমান! তাছাড়াতো কত আইন, বিধি, নীতি, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স! এ স্বাধীন ও সমান শক্তির “ভোট” জনতার বিরাট অধিকার।
শেখ হাসিনা জনগণের ভোট দেয়ার অধিকারকে পাশ কাটিয়ে নিজের এবং তাঁর বংশধরদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার স্বার্থে বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারার পরিবর্তন সাধন করেছেন তাঁর প্রভু ভারতের উপদেশে, অথবা কিছু চাটুকার উপদেষ্টার পরামর্শে নতুবা তাঁর একরোখা নীতির কারণে। তাঁর পিতার পদাঙ্কই যেন তিনি অনুসরন করছেন। তাই আওয়ামীলীগকে ভোট দেওয়া চরম ঝুঁকিপূর্ণ কারন তারা সরকারে গিয়ে জনগণের ভোটাধিকার কেঁড়ে নিতে পারে এই কথা বলাই যায়। তাই এদেশের সচেতন জনগণকে কুচক্রী শেখ হাসিনাকে ঘৃনা ভরে অগ্রাহ্য করার আহবান জানাই।