মহামান্য আদালতের পর্যবেক্ষণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক। যদি তাই হয় তবে আওয়ামীলীগ কি কখনো দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে তাদের অবৈধ, অসাংবিধানিক দাবীর জন্য যার কারণে তারা অবরোধ, হরতাল নামক ধ্বংসাত্মক কর্মসূচী দিয়ে এই দেশের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করেছিল?
আওয়ামীলীগের লোকজনকে আমার কাছে অনেকটা ভেড়ার পালের মত মনে হয় ! গতকাল তাদের কাছে কেয়ারটেকার মানে ছিল জনগনের ভোটাধিকার !! আর আন্দোলন ছিল গনতান্ত্রিক অধিকার !! তখন লীগের সবার সুরেই ছিল একি কথা !! । আর আজকে তাদের পোষ্য জাস্টিস মতে কেয়ারটেকার অসাংবিধানিক !! একি সাথে সবার (তা সে নেত্রী বলি আর কুলি-শ্রমিক লীগ বলি) সুরেই একি গীত, মানে কেয়ারটেকার গনতন্ত্র বিরোধী !! আবার এমন যদি হয় – কালকে নেত্রী আবার কেয়ারটেকারকে ঠিক বললে সাথে সাথে টপ টু বটম রিমিক্স করে সেই পুরোনো সুরেই গান গাইবে !!
আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি যে, আওয়ামীলীগ যদি এই দেশের সাধারণ জনগণের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে তাদের ঐ অবৈধ, ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের জন্য এবং তারপর সংবিধান সংশোধন করত তাহলে এখনকার এই অনভিপ্রেত, বিপদজনক অবস্থার অবতারণা হত না কোনভাবেই।