১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া এই বাংলাদেশে অদ্ভুত একটি রাজনৈতিক দলের নাম আওয়ামীলীগ যারা তুচ্ছ ব্যাপারে গণতন্ত্র রসাতলে গেল বলে আর্ত চিৎকার দেয় প্রায়ই। আসলে এরা গণতন্ত্রের মুল সংজ্ঞা টাই জানে কিনা এ ব্যাপারে আমার ঘোরতর সন্দেহ রয়েছে। গণতন্ত্রের মুল চালিকা শক্তি যেই জনগণ তাদেরকে নিয়ে তারা গিনপিগের ন্যায় ব্যাবহার করে শুধু ক্ষমতায় যাবার সিঁড়ি হিসাবে। জনগণের জন্য তাদের কোন আবেগ, সমবেদনা নেই। এই ভণ্ড আওয়ামীলীগ এবং তাদের পূর্বসূরিদের গণতন্ত্রের জন্য কর্মকাণ্ডগুলো একটু আলোকপাত করা যাক।
১৯৭৫ এ চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে জাতি তাদের কাছ থেকে গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপহারটি পায়!বহুদলীয় গনতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বির্সজন দিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে জাতিকে তারা কোন গনতন্ত্রের রাস্তায় নিয়ে দাড়ঁ করাতে চেয়েছিলো সেটা আমাদের বুঝে আসেনা।
১৯৮৬ তে এক স্বৈরাচারী এবং বিশ্ববেহায়ার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে গনতন্ত্রের তথাকথিত মানস কন্যা স্বঘোষিত বেঈমানে পরিনত হলেন। তিনিই, ১৯৯১ সালে গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকারের বিরোদ্ধে চরম দম্ভোক্তি করে বললেন “একদিনও শান্তিতে থাকতে দেবোন”।
এইতো সেই আওয়ামীলীগ ১৯৯৬ সালে গনতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে জামাতকে সাথে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে আন্দোলন করেছে।২০০১ সালে জয়লাভ করতে না পেরে গভীর খেদ নিয়ে এরাই বলেছিলো”বেড়াই আমার খেত খেলো”।১/১১ ‘র আবির্ভাব হয়েছিলো তাদেরই জন্য। ২০০৮ সালে জয়লাভ করে তারা আমাদের কি দিয়েছে??
অনেককিছু…পিলখানা হত্যাকান্ড,পদ্মাসেতুর অর্থ পাচার,হলমার্ক কেলেংকারী,শেয়ার বাজারে ধস্ ।আলেম সমাজ আর সংবাদ মাধ্যমের উপর ক্ষমতার স্টীমরুলার।
কিন্তু এখন তারা কোন ধরনের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া সংবিধানকে নিজেদের পছন্দমত কাটাকুটি করে? জাতি আজ লজ্জিত গণতন্ত্রের মানসকন্যা খ্যাত শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার নির্লজ্জ প্রচেষ্টায়। আজ জাতির বিবেকের কাছে এই প্রশ্ন উদিত হয়েছে যে, তাদের এই প্রচেষ্টা কি সত্যিই গনতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য নাকি আওয়ামীলীগকে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় থেকে যাবার হীন প্রচেষ্টা?