ভোট এ প্রলুব্ধ করবার উদ্দেশ্যে আওয়ামী সরকারের কূট কৌশল

বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার বাংলাদেশের অতীতের যেকোনো সরকারের থেকে রাজনৈতিকভাবে বেশি কৌশুলী  এবং ধূর্ত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, তারা সব সময় গণ হারে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে পদায়ন করে থাকে যখনই তারা সরকারে আসে। এর পেছনে আসল কারণ হচ্ছে , আওয়ামীলীগ দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করে হিন্দু জনগোষ্ঠী আওয়ামীলীগ ছাড়া আর কাউকে ভোট দেয় না এবং হিন্দুরা তাদের কথায় পরিচালিত হয়। এটি সঠিক কারণ দু এক জন ছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাই দল হিসাবে আওয়ামীলীগ কে সমর্থন করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে ঐ দু একজন আবার ঐ সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃস্থানীয় পদ লাভ করে।

প্রকৃতপক্ষে এসবই ভূয়া, বানোয়াট এবং লোক দেখানো। সবচাইতে বড় কথা হলো এখানে হিন্দু আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্য যেকোন পার্টির সমর্থক বলুক না কেন , তাহারা কখনই নৌকা মার্কা ছাড়া ভোট প্রদান করেনা। এটা তাদের চিরাচরিত রীতি ও নীতি। হিন্দু মানুষ কেবল স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মাঝে মাঝে ২/৪ জন অন্যকোন পার্টির সমর্থন দেয় , আর তাহা কেবলি লোক দেখানো বা ভান ! বৈ কিছই নয়।

সবচাইতে মজার বিষয় হলো যে, হিন্দু মানুষ খুবই চালাক, চতুর ও দুষ্ট বুদ্ধিতে ওস্তাদ। কারণ যখন বি,এন.পি শাসনামাল ছিল তখনও কিন্তু অসংখ্য হিন্দু মানুষ সরকারী চাকুরী পেয়েছিল। তার কারণ হলো হিন্দু সম্প্রদায় ভান করতে ওস্তাদ বা পটু। তাহারা খুব সহজেই অন্যের মন গলিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করে নিতে পারে।

আওয়ামীলীগ সরকার কেন হিন্দু মানুষকে সকল সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ দান করে তাহা হয়ত অনেকেই জানেন না। তার প্রধান কারণ হলো যখন ইলেকশন আসে তখন তাহার (হিন্দুরা) অবশ্যই আওয়ামীলীগের ফেভারে (পছণ্দমত) কাজ করবে। তাই আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, আওয়ামীলীগ সরকারর ৪.৫ বছরে শতকরা ৪০/৪৫ ভাগ হিন্দু মানুষ নিয়োগ পেয়েছেন , যদিও এই দেশে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগই মুসলমি ।

এই যেমন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা , পুলিশ বাহিনী, সহকারী জজ. সরকারী উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা নিয়োগে আওয়ামী সরকার হিন্দ্র মানুষদেরকে অনেক অনেক বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছে। আর মুসলমান যাদেরকে নিয়োগ দিয়েছে তাহারা আওয়ামী রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত এই যেমন ছাত্রলীগ বা যুবলীগের ক্যাডার বা গুন্ডাবাহিনী , তাই এদেরেকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যাহাতে ঐসকল গুন্ডাবাহিনী পুলিশ অফিসার কিংবা সরকারের অন্যান্য উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা হয়ে বিরোধী দল ও মতের উপর ঝাপাইয়া পড়ে বিরোধী দল ও মতকে চাপা দিয়ে দেশে বাকশাল কায়েম করতে পারে।

আমার বিশ্বাস আমার মতো আরও অনেকেরই আওয়ামীলীগের এই সকল অনাচার সমূহ অসহ্য এবং জঘন্য লাগে। এছাড়াও মুসলিম প্রধান এই দেশে ক্ষুদ্রতর হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে গণহারে প্রশাসনে নিয়োগ দেয়া কোন ভাবেই কি ন্যায় সংগত? পাঠকদের কাছে আমার এই প্রশ্ন। মুসলমানদের ভোটের কি আদৌ দরকার হয়েছিল না শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটেই আওয়ামীলীগ নির্বাচিত হয়েছিল?

You may also like...

Read previous post:
What is Islam? (part 2): The Origins of Islam

The role of Islam among other world religions,specifically in relation to the Judeo-Christian tradition.   But where does the message...

Close