হাইতিতে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে সেখানকার অসংখ্য মেয়ে শিশু এবং নারীদের ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। সূত্রমতে, জরুরী ঔষধ পত্র এবং খাদ্যসামগ্রীর বিনিময়ে সেখানকার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা তাদেরকে যৌন কাজে বাধ্য করছে। যৌন নির্যাতনের ভুক্তভোগী এমন ২ শতাধিক নারীর তথ্য পাওয়া গেছে, যাদের প্রায় অর্ধেকের বয়স আঠার বছর কিংবা বহু ক্ষেত্রে তা আঠার বছরের অনেক নীচে। হাইতির স্থানীয় দুই শ একত্রিশ জন মেয়ে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারীর সাথে কথা বলে এই ভয়ংকর তথ্য পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘ অফিস অব ইন্টারনাল ওভারসাইট সার্ভিস বা ওআইওএস’এর এক প্রতিবেদনে শান্তিরক্ষী বাহিনীর দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্যদের অনৈতিক আচরণের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। চলতি মাসে এ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে এবং প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি সংগ্রহ করতে পেরেছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি।
জাতিসংঘের প্রকাশিত এই রিপোর্টে হাইতিতে শান্তিরক্ষী বাহিনীর এই কুকর্ম সংগঠনের সুনির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা হয় নি। তবে, হাইতিতে ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিত ভাবে বাংলাদেশী সেনা সহ জাতিসংঘের অন্যান্য শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রায় সাত হাজার সেনা নিয়োজিত রয়েছে এবং রিপোর্ট আছে, তখন থেকেই হাইতিবাসী নানা সময়ে শান্তি রক্ষী বাহিনীর নানবিধ অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করে আসছে। তারা অনেক ক্ষেত্রে শান্তি রক্ষী বাহিনী সরিয়ে নেয়ারও দাবী তুলেছে। তাদের এই প্রতিবাদের মুল কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল আমেরিকান সেনা সদস্যরা।