দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের যুক্তরাষ্ট্রে ৪টি বাড়ী থাকার খবরে বিপাকে পড়েছে। দুদক সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র মতে, দুদকের হট লাইন এ ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসের শেষ দিকে ফোন করে এক ব্যক্তি জয়ের যুক্তরাষ্ট্রে ৪টি বাড়ী থাকার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেয়। এই বাড়ীগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, ভার্জিনিয়া, নিউ ইয়র্ক এবং ম্যারিলেন্ডে অবস্থিত। এর মধ্যে ম্যারিলেন্ডের পোটোমেকের বাড়ীটি কিছুদিন আগে কেনা হয়েছে, যার মূল্য ৬০০ কোটি টাকারও বেশি। ম্যারিলেন্ডের পোটোমেকের এই বিলাসবহুল বাড়িটির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের কোন নেতা কর্মী এতদিন অবগত ছিল না। তবে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ অধিবেশোনে যোগদান শেষে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর নাম করে অনেকটা গোপনেই জয়ের ম্যারিল্যান্ডে’র বাসায় ওঠেন। তবে মেরিল্যান্ডে জয়ের পোটোম্যাক এলাকার বাড়ীতে উঠলেও পত্র পত্রিকার রিপোর্টে এটি গোপন রাখা হয়েছিল। পত্র পত্রিকার রিপোর্টে বারবার প্রচার করা হয়েছিল শেখ হাসিনা তার পুত্র জয়ের ভার্জিনিয়ার বাসায় উঠেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের নতুন বাড়ির তথ্যটি গোপন রাখা যায়নি কারণ সেই সময় ২৫ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়লে ম্যারিল্যান্ডে জয়ের নতুন বাড়ির খবরটি কেউ কেউ জেনে যায়। এরপরই এ ব্যাপারে কয়েকটি পত্রিকা সংবাদ প্রচার করে।
স্থানীয় সুত্রগুলো জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে মেরিল্যান্ড রাজ্যের পোটোম্যাক সবচেয়ে দামি এবং বিলাসবহুল এলাকা হিসাবে পরিচিত। সাধারনত: এই এলাকায় দেশটির বিলিয়নিয়ররা বসবাস করেন। বিশাল এলাকা নিয়ে এই এলাকার প্রতিটি বাড়ীই ছবির এই বাড়িটির মতোই বিলাসবহুল। প্রতিটি বাড়ীর রয়েছে আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই এলাকায় সাধারনত: ১০০ কোটি টাকার নিচে কোন বাড়ি নেই। সূত্রমতে, জয়ের পোটোম্যাক এলাকার বাড়িটির দাম প্রায় ৬শ কোটি টাকা।
শুধু জয়ের কতিপয় ধনাঢ্য কাছের লোকজন ছাড়া এই বিলাসবহুল বাড়িটির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের কেউ ই অবগত ছিল না। জয়ের ভাগ্য খুলে যায় তাঁর মাতা শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতা লাভের পর।দেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা, সরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো একের পর এক লুটের শিকার হতে থাকে। বিশ্বস্ত সূত্রমতে, উপরোক্ত লুটপাটের অর্থেই জয় পোটোম্যাকের এই বিলাসবহুল বাড়ীটি সর্বশেষে কেনেন। প্রাথমিক গোয়েন্দা তদন্তে এই তথ্য বের হলেও দুদক এই ব্যাপারে আজ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন তদন্ত বা পদক্ষেপ নেয়নি।