সন্ত্রাসবাদে মদদ দানের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড তথা ব্রিটিশ সরকারকে অবহিত করা হচ্ছে

বাংলাদেশ এর সীমানা ছাড়িয়ে এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদকে উসকে দিচ্ছে। সম্প্রতি ব্রিটেন এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উসকে দেবার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড তথা ব্রিটিশ সরকারকে। ব্রিটিশ বাংলাদেশী কয়েকজন আইনজীবী এর মতে, ব্রিটেন প্রবাসী আওয়ামীলীগ কর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি তথা তাদেরকে ব্রিটেন প্রবাসী আওয়ামী সরকার বিরোধী দের শায়েস্তা করবার হুকুম প্রদানের কারণে এই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। গত ২১ এপ্রিল শনিবার, ওয়েস্ট লন্ডন ইউ কে আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি আওয়ামীলীগ কর্মীদের সরকার বিরোধী দের কে দমন ও প্রতিহত করার নির্দেশ দেন, যা প্রচলিত ব্রিটিশ আইন এ অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। তার এই নেক্কারজনক বক্তব্য দেশি বিদেশী মিডিয়া তে ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। বাংলা নিউজ টুয়েন্টি ফউর ডট কম এর সিনিয়র রিপোর্টার মহিউদ্দিন মাহমুদ এই সফরে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়েছিলেন। লন্ডন থেকে তার পাঠানো রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বাংলা নিউজ ২৪ এ। রিপোর্টে উল্লেখ আছে, শেখ হাসিনা তার নেতা কর্মীদের আওয়ামী সরকার বিরোধীদের শায়েস্তা করার নির্দেশ দিচ্ছেন।

……দূতাবাসে হামলা বিষয়ে প্রবাসী বাঙালিদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ঘটনাগুলো যারা ঘটিয়েছে, তারা কোথাও চলাফেরা করে না? তাদের দেখেন না? যে হাত দিয়ে জাতির পিতার ছবি ভেঙেছে, তাদের যা করার তা করতে হবে। তাদের চেহারা চেনেন না?’…..

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম খুন অপহরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে স্মারকলিপি দিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ইউকে বিএনপি এবং একদল প্রবাসী বাংলাদেশী লন্ডনে বাংলাদেশ হাই-কমিশনে যায়। কিন্তু সেখানে হাই-কমিশনের কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের সঙ্গে উস্কানিমূলক আচরণ করে। এ সময় কয়েকজন বিক্ষুব্ধ প্রবাসী বাংলাদেশী হাই কমিশনের দেয়ালে টাঙানো শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবের ছবি ভাংচুর করে। পরে এ বিষয়ে হাই-কমিশন একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি ব্রিটিশ আইনে যথানিয়মে তদন্ত করছে বৃটেনের পুলিশ। কিন্ত শেখ হাসিনা ব্রিটিশ পুলিশের তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষা না করেই হাই-কমিশনে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের উপর যেখানে পাওয়া যায় সেখানেই হামলার নির্দেশ দেন।

এদিকে শেখ হাসিনার এই সন্ত্রাসী তৎপরতা নিয়ে যারা ব্রিটেন সরকার এবং স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কাছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের মধ্যে একজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী আইনজীবী বলেন, শেখ হাসিনার বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর হামলার নির্দেশ। তিনি স্পষ্টত:ই যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে লিপ্ত হতে এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিতে ব্রিটেনে তার দলের নেতাকর্মীদের উস্কানি দিয়েছেন। এটি ব্রিটেনের আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। এই অভিযোগেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

একই সাথে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা নিজের দেশ বাংলাদেশ এও কিভাবে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের হত্যা, গুম, নির্যাতন করছে সেসব তথ্য ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এর কাছে সরবরাহ করা হবে বলে এই আইনজীবী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ আন্তর্জাতিক ভাবেও প্রমাণিত হয়েছে যে শেখ হাসিনা একযন জালিম, স্বৈরাচার। তার এসব অপকর্ম হিটলার এর নৃশংসতা কেও হার মানিয়েছে। তারা সম্প্রতি শেখ হাসিনার এই নেক্কারজনক, উসকানিমূলক বক্তব্য এর অডিও ক্লিপ সংগ্রহ করেছেন যা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এর কাছে প্রদান করার পূর্বে ব্রিটিশ স্বনামধন্য ক্রিমিনাল আইনজীবীদের বিশেষজ্ঞ মতামত নেয়া হবে।

You may also like...

Read previous post:
রাত শুধু পুরুষের , নারীর নয়

বাংলাদেশের কয়টা মেয়ে রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করেছে বা করতে পারেন? একা  একা হেঁটে , জ্যোছনা রাতে পাহাড়ে গিয়ে বা কোনো...

Close