আন্দোলন এ যোগদান কারী নিরীহ ছাত্র ছাত্রী দের উপর আওয়ামীলীগ এর সরকারী শাখা তথা পুলিশ এবং বেসরকারি শাখা ছাত্রলীগ একযোগে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এর মত ঝাঁপিয়ে পড়ে এই শান্তি পূর্ণ আন্দোলন কে স্তিমিত করবার জন্য।
এক বেপরোয়া চালক এর কারণে বিগত ২৯জুলাই আমরা হারিয়েছি কয়েকজন কুমলমোতি শিক্ষার্থী কে। সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এই সংখ্যা ২ বলে প্রচার করেছে। কিন্তু, সামাজিক যুগাযুগ মাধ্যমে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে প্রচারিত হয়েছে। এতো গেল নিহতের সংখ্যা কিন্তু মারাত্মক ভাবে আহত এর সংখ্যা এবং তাদের শারীরিক অবস্থা আজ অব্ধি অজানা রয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটার দিন ই বেপরোয়া ড্রাই ভিং এর প্রতিবাদে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী রা রাজপথে নেমে আসে।তাদের একটাই দাবী “নিরাপদ সড়ক চাই”। কিন্তু, ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায় বলে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে। তাই এই অবৈধ ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকার এই ক্ষুদ্র শিক্ষার্থী দের নিরীহ আন্দোলন কে সরকার পতনের সুত্রপাত হিসাবে পরিগণিত করে সর্ব শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এটাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করবার জন্য। তাই, ছাত্রদের উপর লেলিয়ে দিলো তার পুলিশবাহিনীকে, যারা জনতার নিকট এখন বৈধসন্ত্রাসী(!) নামেও পরিচিত; তাদের আরো কিছু নাম রয়েছে, যাক সে কথা এখন বলতে চাই না। আন্দোলন দমনের নামে নিরপরাধ, নিষ্পাপ ছাত্রদেরকে পেটাল পুলিশ। আন্দোলনকে থামিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা করে চলেছে ঐ পুলিশ বাহিনী। প্রথম আলোর বরাতে জানা যায়< পাশাপাশি, আরেকটি দলকে সবসময় সরকারসংশ্লিষ্ট আন্দোলনগুলোতে ভিন্ন ভূমিকায় দেখা যায় সব সময়। সরকারের মদদপুষ্ট সেই সন্ত্রাসী বাহিনীকেও সামান্য ইশারায় চিনতে পারে জনতা। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ইত্যাদি নামের সকল সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেছে। না জানি, তাদের ‘প্রভু’ হাসিনার মুখোশ জনতার সম্মুখে উন্মোচিত হয়ে যায়! কিন্তু, তা কি আর বাকি আছে!? জনগণের প্রতি হাসিনা সরকারের নির্মমতা মানুষ প্রত্যক্ষ করছে নিজ চোখে! যাইহোক, সরকারের নির্দেশনা ব্যতীত পুলিশ কারো উপর গুলি চালায় না বলেই জানি। তাহলে ,গতকাল(২রা আগস্ট) নিরপরাধ ছাত্রদের থামাতে যে গুলি চালানো হলো এর নির্দেশও কি কোন দেশের সরকার দিতে পারে! এখন কি তাহলে পুলিশের গুলির উপরই দেশের সরকারের নির্ভরতা! ‘সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলবে, তো গুলি মেরে তার জীবনের স্বাদ মিটিয়ে দেবে ঐ পুলিশ!’- বিগত দিনগুলোতে এই বাক্যটিরই বাস্তবায়ন দেখে এসেছে জনতা। গতকাল ২রা আগস্ট ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিরপরাধ ছাত্রদের উপর পুলিশ এবং সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের যে হামলা হয়েছে , এমনকি ফটো কিংবা ভিডিও ধারণেও যে বাধা দিয়েছে বৈধসন্ত্রাসীরা! এ হামলার পেছনে উদ্দেশ্যে কি এই নয় যে, মাজলুমদের মুখকে বন্ধ করে দেওয়া!
অন্যদিকে কোমল মতি শিক্ষার্থী দের এই সারা দেশ ব্যাপী স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন কে পরিহাস করে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী শাহ জাহান খান এর নির্লজ্জ বিদ্রূপ, ব্যাঙ্গ বাংলাদেশ এর আপামর জনসাধারণ কে চরম ভাবে আহত করেছে। বেকায়দায় পড়ে শেখ হাসিনা এই মানব রুপী জানোয়ার কে দিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করিএছে। কিন্তু তার এই হিংস্র বিদ্রূপাত্মক হাসি বাঙ্গালী জাতি এতটা সহজে ভুলে যাবে না। এই ধরণের বিকৃত মানসিকতার মানুষ কি করে মন্ত্রী পদে থাকার ধৃষ্টতা দেখায় এত মর্মান্তিক ঘটনা এর পরে? কি করে সে মিডিয়া তথা জনসম্মুখে এই হৃদয় বিদারক ঘটনা নিয়ে বিদ্রুপ করতে পারে? যারা স্কুল গামী শিক্ষার্থী দের রক্ত দেখে বিদ্রূপ করতে পারে, তাদের দ্বারা ১৯৭১ এর মত নির্মম গণহত্যা সংগঠিত হতে পারে অনায়াসে। এর নজির আমরা ইতি পূর্বে দেখেছি। সরকার বিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ও তারা তাদের পোষা পুলিশ দ্বারা নির্বিচারে গুলী চালিয়েছে, করেছে নির্মম শারীরিক নির্যাতন। কিন্তু এত কিছুর পরে ও আমি দারুণ ভাবে আশা বাদী এই সাম্প্রতিক স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন এর কারণে যার রুপকার মুষ্টিমেয়, কচি স্কুল কলেজ গামী শিক্ষার্থী। অচিরেই এই জালিম, অবৈধ সরকার এর পতন হবেই।