দুই বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য এবং আবাসিক সমস্যার সমাধান:
২০০৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর সন্ত্রাস ও সেশনজটমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার ঘোষনা দেন। গত ২ বছরে প্রশাসনের উল্লেখ্যযোগ্য অর্জন ছিল সেশনজট কমানো, পুরনো ভর্তি পরীক্ষার (লিখিত পরীক্ষা) বদলে ইউনিট ভিত্তিক এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহন এবং ¯^í সময়ে ফলাফল প্রকাশ। এছাড়া আইবিএ এবং আই আই টি ইন্সটিটিউট সহ বানিজ্য অনুষদের অধীনে চারটি বিভাগ ও জীব বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু হয়েছে এ দুই বছরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সমস্যা সমাধানের জন্য শহীদ রফিক-জব্বার হল নির্মান করা হয়েছে এবং ছাত্রীদের জন্য শেখ হাসিনা হল নির্মানের প্রস্তুতি চলছে।গত ৩০ মে ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় ‘ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইতোমধ্যে সরকার এই গবেষণা কেন্দ্রের জন্য ১০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও নতুন প্রশাসনিক ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল প্রবেশদ্বার নির্মাণ ছিল বর্তমান প্রশাসনের উল্লেখ্যযোগ্য অবদান। তবে একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডির ভর্তি ফিও কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগে অস্বচ্ছতা:
গত ২ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ১৪০জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ¯^í সময়ে এতো বেশি সংখ্যক শিক্ষক এর আগে কখনো নিয়োগ দেয়া হয়নি।তবে এ ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে যে, মেধার অবমূল্যায়ন, দলীয়করণ ও বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে ।