ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কাছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পণবন্দী

প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আস্কারায় লাগামহীন পাগলা ঘোড়ায় পরিণত হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। কোনভাবেই যেন আর নিয়ন্ত্রণে আসছে না এই সংগঠনটির অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। গত পাঁচ বছরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, প্রকাশ্যে অস্ত্রবাজি, ছিনতাই-চাঁদাবাজি ও ছাত্রী-শিক্ষক লাঞ্ছনার মতো ঘটনা ঘটার পরও পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ছাত্রলীগ যেন লাগামহীন হয়ে পড়েছে। সর্বশেষ গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) আইন-শৃংখলা বাহিনীর সামনেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমাবেশে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলীবর্ষণের পর অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার না হওয়ায় একদিকে যেমন ছাত্রলীগের লাগামহীনতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। তেমনি এর পরের দিনে ভয়ংকর এসব চিহ্নিত বা দাগি সন্ত্রাসী ও হত্যা-ডাকাতি মামলার আসামীরা ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোতে জনমনে ভয়াবহ আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। গত পাঁচ বছরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের জেরে নিজ দলের তিন কর্মীসহ চার ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি প্রফেসর ড. মামনুনুল কেরামতকে সরিয়ে ভিসি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান। সে সময় সোবহান প্রশাসনের অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা আর প্রত্যক্ষ মদদে গোটা ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ছাত্রলীগ। শুরু হয় ভিন্ন মতাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপর বর্বরোচিত নির্যাতন। ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা নিরীহ অসহায় শিক্ষার্থীরা।

You may also like...

Read previous post:
কোথায় পাওয়া যায় এই শেখ হাসিনা রচনাসমগ্র?

মাননীয় প্রধানমণ্ত্রী বেগম শেখ হাসিনার এবারের মহাপূন্যময় এবং ফুলপ্রসু ভারত সফরের পুরোটা সময় তার আশেপাশে ছিলেন আমাদের বিরশেষ পরতিনিধি বিসিষ্ট...

Close