আমি ইতিহাসের ছাত্র নই। কিন্তু ইতিহাস জানাটা আমার নেশা। বহুদিন ধরেই ভাবছিলাম, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং এর পরবর্তী সময়ের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। তাই ছুটি পেলেই আমার বন্ধু কাউকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি কিছু জানার আশায়্ । আমি গত এক বছর যাবত চেষ্টা করেছি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস একদম মানুষের মুখ থেকে শুনতে। এই জন্য আমি বিভিন্ন বয়সি বৃ্দ্ধ মানুষদের কাছ থেকে জেনেছি কি ঘটেছিল একাত্তরে। সত্যতা যাচাই বাছাইয়ের জন্য আমি বিহারী পল্লীতে ও গিয়েছি। তাদের সাথে কথা বলতে যেয়ে সম্মুখিন হয়েছি অনেক প্রতিবন্ধকতার। এই সাক্ষাতকার গুলো নিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে একটা সত্য ইতিহাস তুলে ধরার ইচ্ছা আছে। অনেক লোমহর্ষক কাহিনী আর অজানা ইতিহাস আছে তাদের বুকের মধ্যে লুকিয়ে। যদি বেচে থাকি তাহলে আপনাদের সাথেও শেয়ার করতে পারব এসব ইতিহাস ইনশাহআল্লাহ।
গত মাসে পাবলিক লাইব্রেরীতে গিয়েছিলাম স্বাধীনতার বিষয়ক ভাল কোন বইয়ের আশায়। সেখানের এক চাচার কাছে জিগাসা করলাম, ” চাচা মুক্তিযুদ্ধের একটা ভাল বইয়ের নাম বলেন তো। চাচা, কোন কথাই বলেনা। শেষ পর্যন্ত একটা সাইড দেখায় বলে এখানে অনেক বই আছে যেটা ভাল মনে করেন পড়েন।
আমি চার পাচটা বই নিয়ে নড়া চড়া করছিলাম। খুব হাসি পাচ্ছিল। এক একজন লেখক ইতিহাস টাকে একভাবে লিখেছেন। আমাকে খেয়াল করছিলেন পাশে বসা এক মাঝ বয়সী ভদ্র লোক। তিনি দেখে বললেন বাবা কিছু খুজছেন নাকি? আমি মজা করার জণ্য বললাম, চাচা সারা দেশে ছাত্রলীগ কি করছে দেখেন।আমি তো ৯৬ আর ২০১০ নিজের চোখে দেখেছি। দেখছি ৭১ এর পরবর্তী আওয়ামীলিগ কেমন ছিল । তিন সম্ভবত আমার আগ্রহ বুঝতে পেরেছিলেন।
তার কাছ থেকে যেই বইয়ের নাম পেলাম সেটা পড়ে আমার গাযের লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের সাথে সেটা্রউ কয়েক লাইন আজকে শেয়ার করব। আহমদ মুসা রচিত ইতিহাসের কাঠ গড়ায় আওয়ামীলীগ” বেইটির পাচ নম্বর পাতায় মাওলানা ভাসানীর হক কথা পত্রিকার একটি রেফেরন্স এসছে। যেখানে ভাসানী বলছেন”আমাদের দেশে একটি বিদেশী সংস্থা কাজ করছে যাদের লক্শ হল এদেশের সোয়া লাখ বাম কর্মীকে হত্যা করা।”
তোফায়েল-রাজ্জাক আর মনির নেতৃত্বাধীন মুজিববাহিনী আর রক্ষীবাহিণী তো সাধারন মানুষের কাছে পাক বাহিণীর চেয়েও ভয়ানক ছিল। তারা টাইগার হোল নামক একটা গর্ত করত। সেখানে কোন আলো বাতাস ঢুকতনা। সাধারন মানুষকে সেখানে রেখে তারা নির্যাতন করত।
” ++ কিশোর গন্জের বাজিতপুর ছিল এক সাক্ষাত মৃত্যুপুরি। সেখানে ১২৬ জন সাধারন মানুষকে হত্যা করেছিল মুজিব বাহিনী আর রক্ষী বাহিনী।
+++ পিরোজপুরে তাদের কথা না শুনায় গায়ে কম্বল পেচিয়ে কেরোসিন ঢেল আগুন ধরিয়ে দেয় আমেনা নামক এক মহিলাকে। বালিগায়ে আকবর নামক এক লোককে ধরতে না পেরে সীমাহীন নির্যাতন করে তার মা কে।
++++ ইকোরাটিয়ায় রশিদ নামক এক লোককে তারা প্রথমে গুলি করে হত্য করে। তারপর তার বাবার হাতে কুঠার ধরিয়ে দিয়ে বলে তার ছেলের মাথা কেটে দিতে । তাদের কথা না শুনায় সীমাহিন নির্যাতন করে তারা তার বাবার উপর শেষে বাধ্য হয়ে নিজ হাতে ছেলের মাথা কাটে রশিদের বাবা। পরে সেই মাথা দিয়ে ফুটবল খেলে মুজিব আর রক্ষী বাহিনীর বীর সদস্য রা।
এরকম আর বহুত ঘটনা আছে। যেগুলো পর্যায় ক্রমে ইনশাহআল্লাহ প্রকাশ করা হবে।
“” বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন বয়োবৃদ্ধদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত ইতিহাসের ভিডিও ক্লিপগুলো ইউটিউবের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।””
চলবে।……………………….
গত মাসে পাবলিক লাইব্রেরীতে গিয়েছিলাম স্বাধীনতার বিষয়ক ভাল কোন বইয়ের আশায়। সেখানের এক চাচার কাছে জিগাসা করলাম, ” চাচা মুক্তিযুদ্ধের একটা ভাল বইয়ের নাম বলেন তো। চাচা, কোন কথাই বলেনা। শেষ পর্যন্ত একটা সাইড দেখায় বলে এখানে অনেক বই আছে যেটা ভাল মনে করেন পড়েন।
আমি চার পাচটা বই নিয়ে নড়া চড়া করছিলাম। খুব হাসি পাচ্ছিল। এক একজন লেখক ইতিহাস টাকে একভাবে লিখেছেন। আমাকে খেয়াল করছিলেন পাশে বসা এক মাঝ বয়সী ভদ্র লোক। তিনি দেখে বললেন বাবা কিছু খুজছেন নাকি? আমি মজা করার জণ্য বললাম, চাচা সারা দেশে ছাত্রলীগ কি করছে দেখেন।আমি তো ৯৬ আর ২০১০ নিজের চোখে দেখেছি। দেখছি ৭১ এর পরবর্তী আওয়ামীলিগ কেমন ছিল । তিন সম্ভবত আমার আগ্রহ বুঝতে পেরেছিলেন।
তার কাছ থেকে যেই বইয়ের নাম পেলাম সেটা পড়ে আমার গাযের লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের সাথে সেটা্রউ কয়েক লাইন আজকে শেয়ার করব। আহমদ মুসা রচিত ইতিহাসের কাঠ গড়ায় আওয়ামীলীগ” বেইটির পাচ নম্বর পাতায় মাওলানা ভাসানীর হক কথা পত্রিকার একটি রেফেরন্স এসছে। যেখানে ভাসানী বলছেন”আমাদের দেশে একটি বিদেশী সংস্থা কাজ করছে যাদের লক্শ হল এদেশের সোয়া লাখ বাম কর্মীকে হত্যা করা।”
তোফায়েল-রাজ্জাক আর মনির নেতৃত্বাধীন মুজিববাহিনী আর রক্ষীবাহিণী তো সাধারন মানুষের কাছে পাক বাহিণীর চেয়েও ভয়ানক ছিল। তারা টাইগার হোল নামক একটা গর্ত করত। সেখানে কোন আলো বাতাস ঢুকতনা। সাধারন মানুষকে সেখানে রেখে তারা নির্যাতন করত।
” ++ কিশোর গন্জের বাজিতপুর ছিল এক সাক্ষাত মৃত্যুপুরি। সেখানে ১২৬ জন সাধারন মানুষকে হত্যা করেছিল মুজিব বাহিনী আর রক্ষী বাহিনী।
+++ পিরোজপুরে তাদের কথা না শুনায় গায়ে কম্বল পেচিয়ে কেরোসিন ঢেল আগুন ধরিয়ে দেয় আমেনা নামক এক মহিলাকে। বালিগায়ে আকবর নামক এক লোককে ধরতে না পেরে সীমাহীন নির্যাতন করে তার মা কে।
++++ ইকোরাটিয়ায় রশিদ নামক এক লোককে তারা প্রথমে গুলি করে হত্য করে। তারপর তার বাবার হাতে কুঠার ধরিয়ে দিয়ে বলে তার ছেলের মাথা কেটে দিতে । তাদের কথা না শুনায় সীমাহিন নির্যাতন করে তারা তার বাবার উপর শেষে বাধ্য হয়ে নিজ হাতে ছেলের মাথা কাটে রশিদের বাবা। পরে সেই মাথা দিয়ে ফুটবল খেলে মুজিব আর রক্ষী বাহিনীর বীর সদস্য রা।
এরকম আর বহুত ঘটনা আছে। যেগুলো পর্যায় ক্রমে ইনশাহআল্লাহ প্রকাশ করা হবে।
“” বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন বয়োবৃদ্ধদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত ইতিহাসের ভিডিও ক্লিপগুলো ইউটিউবের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।””
চলবে।……………………….