আওয়ামীর নিজের তৈরী অন্তর্মূখী বিস্ফোরণ শুরু।
হাসিনা অতি চালাকি করে ধরা খেয়ে ভিতর থেকে আওমীলীগের পতন শুরু করলেন।
চারটি সিটি নির্বাচনে আগাম ভোট দেয়ার কারণ হয়ত ছিল দু’তিনটি আসনে জিতে জনগণের কিছুটা আস্থা আছে সেটা প্রমাণ করা আর নিজের কর্মীবাহিনীর মনোবল বাড়ানো।
হাসিনা আর সংগীরা খুব ভাল করে জানেন তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই।
তাই সিটি নির্বাচন দিয়ে অন্তত সিলেট সহ আরো দু’একটিতে জেতার সম্ভাবনা দেখেছিলেন। হলো হিতে বিপরীত। ভাগ্যে জুটল অপমানজনক পরাজয়।
এই নির্বাচনের ফল মানে হল আগামী সংসদ নির্বাচনে গো হারা হারার পূর্বাভাস। নির্বাচনের ফলকে ত আর পত্রিকার জরিপ কারসাজি বলে উড়িয়ে দেয়া যাবেনা।
সবাই যখন বুঝে গেছে আওয়ামীলীগ এখন ঠুটো জগন্নাথ, তখন আস্তে সব চাটুকাররা পিছন থেকে সরে যেতে থাকবে। কর্মীরা এখন ভয়ে হয় নিষ্ক্রিয় হতে থাকবে, কিংবা বিএনপি জামাতের চাটুকারী করা শুরু করবে।
প্রশাসন, পুলিশ ও নিজেদের গা বাচাতে আস্তে আস্তে- প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে জামাত-বিএনপির তোষামোদী শুরু করবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সামান্য একটু ঝলক দেখা গেছে।
বাকি সব জায়গাতেও একইরকম হবে।
সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত হাসিনার আশে পাশে টর্চলাইট দিয়েও কাউকে খুজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ।
জামাতকে তৈলমর্দন শুরু হবে – বিচারনাটক হয়ত এখন হিমঘরে পাঠানো হতে পারে। জামাতকে নিজেদের জোটে নিয়ে নির্বাচন ত দুরের কথা অন্তত বিএনপির সাথে যেন জোটবদ্ধ নির্বাচন না করে সেজন্য সরকার জামাতকে একের পর একেক সুবিধা দিতে থাকবে।
হাসিনা এখনো তত্ত্ববধায়কের বিরুদ্ধে কথা বললেও এই সুর আস্তে আস্তে ক্ষীণ হতে থাকবে। কারণ চাটুকাররা একে একে দুরে সরতে থাকবে।
তার দূর্গের আস্তরণ ঝরে পড়ছে; ইট-সুড়কি, ভিত সবও এরকম পড়তে থাকবে। সিটি নির্বাচনে দূর্গ ধরে জনগণ যে ধাক্কা দিয়েছে তাতে বিশ্বমানের আওয়ামী দালান এখন ঝরে ঝরে পড়তে থাকবে।