বি এন পি চেয়ার পারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জ গিয়েছিলেন র্যাবের হাতে গুম হওয়া সাত জনের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জানানোর জন্য। তার এ সফরকে ব্যঙ্গ করে আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক হাসান মাহমুদ বলেছেন পেট্্েরাল বোমায় আহতদের বাড়িতে যান। বেশ ভাল কথা। তার এ কথা নির্দোষ-ই মনে হয়। বিগত কেয়ার টেকার সরকার আন্দোলনে হরতাল অবরোধের সময় রাজধানীসহ সারাদেশে বেশ কয়েকটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এ পেট্্েরাল বোমার হামলা কারা করেছে? সরকার এবং তাদের দলদাস-সেবাদাস মিডিয়া এটাকে বি এন পি জামায়াতের কাজ বলে মূখে ফণা তুলে ফেললেও এর স্বপক্ষে তারা কোন প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারে নি।বরং শাহবাগে বিহঙ্গ পরিবহনে হামলার সাথে যুবলীগ ছাত্রলীগ জড়িত বলে অনেক প্রমাণ ভার্চুয়াল মিডিয়ায় পাওয়া যাচ্ছে। অনেকেইে বলছেন বি এন পিকে আন্দোলন থেকে দূরে রাখার জন্য এবং হাসিনা পতনের আন্দোলনের প্রতি জনগণের ঘৃনা সৃস্টির জন্য আওয়ামীলীগ এ কাজ করেছে। গোয়েবলসের একটি থিওরী হচ্ছে একটি মিথ্যাকে ৯৯ বার বললে একশতবারের সময় এটি সত্যে পরিণত হয়। এখন ডিজিটাল মিডিয়ার যুগ, ৯৯ বার দরকার হয় না। অধিকাংশ মিডিয়া আওয়ামী সেবাদাসের ভূমিকা পালন করছে। আওয়ামীলীগ যা বলবে তারা তাই প্রচার করবে। এটাই এখন হচ্ছে। আওয়ামীলীগ এবং তাদের দলবাজ মিডিয়ার কারণে ভিন্নধর্মী প্রপাগান্ডায় বিভ্রান্ত হয়ে বি এন পি আন্দোলন ছেড়ে ঘরের সবচেয়ে গোপন কুঠরীতে আশ্রয় নিয়েছে আর আওয়ামীলীগ পেট্রোল বোমার রাজনীতিতে শতভাগ সফল হয়েছে। এটা বোঝার জন্য রাজনৈতিক তাত্বিক হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। পেট্রোল বোমার রাজনীতিতে শতভাগ সফলতার পর আওয়ামীলীগ তাদের গুম খুনের পুরোনো রাজনীতি আরো ব্যাপকভাবে শুরু করেছে। তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেওয়া হয়, যে বি এন পি জামায়াতের লোকেরা পেট্রোল বোমা হামলা করেছে, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে পেট্রোল বোমায় কতজন মারা গেছে? আর সরকারী বাহিনীর গুম, গুলি আর গ্রেফতারের পর বন্দুক যুদ্ধ নামক প্রচারণায় কতজন মারা গেছে?
কোথায় ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, ওয়ালীউল্লাহ, মোকদ্দেসসহ হাজার হাজার গুম হওয়া নাগরিক। কোথায় হেফাজতের আলেমদের লাশ? প্রতিদিন দেশের কোন না কোন প্রান্তে সরকারী বাহিনীর গুলিতে দু’একজন নিহত হচ্ছে। নির্বিচারে এ সব মানুষ খুনের পর প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাস্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুভূতি কি আমার জানতে ইচ্ছে করে। তিনি কি এ সকল মানুষের বাসায় সমবেদনা জানানোর জন্য গিয়েছেন? মূলত আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর তারা সরকারী বাহিনীগুলোকে তাদের পেশাদারিত্ব ভুলিয়ে দিয়ে তাদেরকে এক ধরনের খুনী ফ্রাংকেন স্টাইন দানবে পরিণত করেছে। এ দানব যখন তার প্রভুর ঘরে আক্রমণ করেছে আর তাতেই তারা ভাবছে এ কোন দানব আমরা তৈরী করলাম, যে আমার তৈরী পোষা শাবক আমাকেই ছোবল মারছে। এ দানব তো তৈরী করা হয়েছে বি এন পি জামায়াতকে খতম করার জন্য। কিন্তু রক্তের নেশায় পাগলপারা দানবরা আজ তাদের প্রভুকেই আক্রমণ করেছে। শত আদরে লালিত দানবীয় শাবককে ধরতে তাইতো তাদের কত আইনী প্রক্রিয়া। কিন্তু বি এন পি জামায়াতের নেতাদের ধরার জন্য কোন আইনী প্রক্রিয়ার দরকার হয় না। শুধুমাত্র গ্রেফতারই নয়, গ্রেফতারের পর ক্রসফায়ারের নামে নিয়মিত হত্যা করছে। সমস্যা হচ্ছে একটি যায়গায় নিজেদের তৈরী দানব আজ তাদের প্রভুর ঘরে আক্রমণ করেছে।