আওয়ামীলীগ বনাম বাংলাদেশ

মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আইন প্রতিমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্য শুনলে মনে হয় দেশে ৭১ সালের আবহ বিরাজমান। মানে রাজনীতি বা সরকার পরিচালনা নয়, এ-যেন এক যুদ্ধ যুদ্ধ অবস্থা। নিজেদের অগ্নিকন্যা, মানসকন্যা, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ইত্যাদি উপাধির প্রতি সুবিচার করতে গিয়ে তাঁরা বারবার যে কথাটি ভুলে যান তা হলও, দেশ ৭১-এর যুদ্ধ পার করে আজ ৪২ বছরে পদার্পণ করেছে। কিন্তু আজও তিনি সহ আওয়ামীলীগের সব নেতা-নেত্রীরারা দেশকে সেই ৭১- সালেই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। শিক্ষা দেন মুক্তিযুদ্ধের, সাচ্চা দেশপ্রেমিক হওয়ার । যে পাকিস্থান বিশ্ব মানচিত্রে টিকে থাকবে কি না সেটাই যথেষ্ট সন্দেহযুক্ত সেই পাকিস্থানের দালাল বলে চিহ্নিত করেন দেশের ৮২% জনগণকে । তাহলে বলতে বাধ্য হই আওয়ামীলীগ এমন এক দল যেখানে রাজাকার হয়ে ঢুকলে অনায়াসে মুক্তিযোদ্ধার প্রত্তায়নপত্র পাওয়া যায়। আর অন্যদিকে আওয়ামীলীগের কৃতকর্মের বিরোধিতা করা মানেই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা…দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা। এই দুঃসাহস দেখালে আনডাউটলি ভাবে আপনি মুহূর্তে পরিণত হয়ে যাবেন পাকিস্থানি বা আইএসআই এর দালাল। জাতির নৈতিক চরিত্র, দেশের অর্থনীতি, রাষ্ট্রের প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, সম্প্রীতি বা ভ্রাতিত্ববোধ সব আজ দুষিত, চরম কুলসিত। আর এই দূষণ ও কুলসতার আগ্রযাত্রা পাল্লা দিয়ে বর্ধমান। যেখানে বহির্বিশ্ব প্রতিদিন এগিয়ে যাচ্ছে এক বছর করে সেখানে আমরা পড়ে আছি সেই অতীত ৭১-এ। সঠিক ইতিহাস স্মরণ করতে বারণ নেই কিন্তু মানুষের জীবন যখন ইতিহাসের বেড়াজালে পুরাটাই আটকা পড়ে যায় তখন বুঝতে হবে জাতি হিসাবে এই জনগোষ্ঠী শীঘ্রই ইতিহাসে পরিণত হতে যাচ্ছে।

You may also like...

Read previous post:
সারা বছরই কি আওয়ামীলীগ এর কার্তিক মাস? এবার কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করতে গিয়ে ধরা পরলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীলীগ পন্থী শিক্ষক চন্দন কুমার পোদ্দার।

কার্তিক মাসে নাকি কুত্তা চ্যাতে! যেখানে সেখানে আকাম কইরা বেড়ায়। এখন আওয়ামীলীগ এর সোনার চানদের হইছে এই দশা। যেখানেই আওয়ামীলীগ...

Close