সিলেকটিভ মানবতাবাদী কিম্বা কান্ধরা পার্টির ক্ষয় অবশ্যসম্ভাবী

সিলেক্টিভ মানবতাবাদীর দল অথবা কানেধরা পার্টি, এরা একটা সমাজের সবচাইতে দুষ্ট অংশ। এরা মানুষে মানুষে বিভেদ ঘটায়, মানুষকে অন্য মানুষকে ঘৃণা বিদ্বেষ করতে শিখায়।
এরা নিজেরে মুক্ত চিন্তার মানুষ হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্য মানুষরে বদ্ধ চিন্তার মানুষ মনে করে। অথচ মানুষ মাত্রই চিন্তাশীল।

এরা নিজেরে অগ্রসর দাবি করে আর সবাইরে অনগ্রসর বিবেচনা করে। যার ভিত্তি হল ইট কাঠ দালান ভালো খানা দানা অর্থ কড়ি আর পোশাক!
অথচ এগো হাল বাইতে দিলে একটাও পারব না, জাল বাইতে দিলেও না, রিকশা কিম্বা ঠেলা গাড়ি চালানের মতো দুরূহ কাজের কথা এরা ভাবতেই পারে না। তো আরও সুক্ষ্মাতি সুক্ষ্ম কাজ এরা কীভাবে করবে?
এরা নিজেদের ধর্মহীন গোষ্ঠী বিবেচনা করে, অথচ পূজা পার্বণ কিম্বা বড়দিনে ইহারা আদেখলার ন্যায় ঝাঁপাইয়া পড়ে। আর দিন রাত কেবল একটা ধর্মের লোকজনরে গাইল পারে…
কেন?
কারণ ওই একটি ধর্মের লোকেরাই কোনও বেলেল্লাপনা সহ্য করে না…তাদের আছে এক সুশৃঙ্খল জীবন বিধান, কোনও উচ্ছৃখলতাই তারা এলাউ করে না…মদ মাগীবাজি ঘুষ দুর্নীতি সব হারাম…
অথচ এগুলাই মুক্তবুদ্ধির প্রাণিদের একমাত্র আহার ও বিহার।
এমতাবস্থায় সিলেকটিভ মানবতাবাদী কিম্বা কানেধরা পার্টির একমাত্র কাজই অহরাত্র ইসলাম ধর্মের নিন্দা মন্দ করা।
সেইসাথে ওই ধর্মের অনুসারী যে বা যারাই হোক, তাদের শত্রুজ্ঞান করে সমূলে বিনাশ তরিকা খুঁজিয়া বাহির করা। এরূপ খোঁজাখুঁজির সেরা খোঁজ জঙ্গিবাদ।
তো এই জঙ্গিবাদের দোহাই টানিয়া উক্ত ধর্মের বহু নিরীহ লোককে বিদায় করা হইছে দুনিয়া হইতে। তবু এদের শান্তি নাই।
এরা নিজেরা অশান্ত, নিজ আকামের অন্তর্জ্বালায় ভোগা মানুষ, সেই অস্থিরতায় এরা পিছু ধাওয়া করছে যারা এক নিয়মতান্ত্রিক জীবন বেছে নিয়েছে তাদের।
ফলে সিলেকটিভ মানবতাবাদী কিম্বা কান্ধরা পার্টির ক্ষয় অবশ্যসম্ভাবী।

You may also like...

Read previous post:
বাংলাদেশী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে পাহাড়ে অপারেশন চলাকালে ধর্ষণের অভিযোগ

দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালীন সময়ে স্থানীয় নারীকে ধর্ষণের গুরুতর  অভিযোগ উঠেছে। চাকমা রানী ইয়েন ইয়েন অভিযোগ করেছেন যে,...

Close