আমেরিকায় শেখ হাসিনার ব্যাংক ডাকাত পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিভিন্ন একাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন দেখে সে দেশের তদন্ত সংস্থা এফবিআই ২০১৩ সালেই জয়ের বিভিন্ন একাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের অবৈধ লেনদেনের তথ্য খুঁজে পেয়েছিলো। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছিল। এরপরই টনক নড়ে শেখ হাসিনার। ভিন্ন দিকে দৃষ্টি ফেরাতে নোবেল জয়ী ডক্টর ইউনূসের বিরুদ্ধে অপপ্ৰচার শুরু করেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা জনগণকে একটি ধারণা দিতে চান, মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই এবং ইন্টারনাল রিভিউ সার্ভিস (আইএরএস) এর তদন্তের পেছনে ডক্টর ইউনূসের ষড়যন্ত্র রয়েছে।
দেশ থেকে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে টাকা পাচার। শুধুমাত্র ২০১৪ সালেই বাংলাদেশ থেকে এক হাজার ২৫৭ কোটি ডলার (১ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা) পাচার হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। সোমবার (১ মে) প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
পাচার হওয়া এই অর্থের পরিমাণ দেশের মোট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রায় সমান। আর এই অর্থ দিয়ে ৪টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব।
জিএফআইর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪টি প্রক্রিয়ায় এই অর্থ পাচার হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি মূল্য বেশি দেখানো (ওভার ইনভয়েসিং), রফতানিতে মূল্য কম দেখানো (আন্ডার ইনভয়েসিং), হুন্ডি ও অন্য মাধ্যমে বিদেশে লেনদেন এবং ভিওআইপি ব্যবসা।
জিএফআইর তথ্য মতে, গত দশ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে, যা দেশের মোট জাতীয় বাজেটের দ্বিগুণ। প্রতি বছর গড়ে পাচার হয়েছে ৫৩ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। প্রতি বছরই এই পাচারের হার বাড়ছে। এর মধ্যে শুধু ২০১৩ সালে পাচার হয়েছে ৭৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। অর্থ পাচারে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ না হওয়ায় টাকা পাচার বেড়েছে। এছাড়া দুর্নীতিও টাকা পাচারের অন্যতম কারণ। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে টাকা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেবে।
এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশের মোট বিনিয়োগের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ আসে বেসরকারি খাত থেকে। কিন্তু চলতি অর্থবছরে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ কমছে। বিপরীতে ২ বছর ধরে বেড়েছে আমদানি ব্যয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে। অর্থাৎ যন্ত্রপাতির মূল্য বেশি দেখিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ একবার বিদেশে টাকা গেলে, তা ফেরত আনা খুব কঠিন।
জিএফআই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর গড়ে ৬৫১ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে। ২০১০ সালে ৫৪০ কোটি ডলার অর্থ পাচার হয়েছিল। তিন বছরের ব্যবধানে এই অর্থ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬৬ কোটি ডলারে। গত দশ বছরে ৬ হাজার ৫১০ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে, ২০১০ সালে ৫৪০ কোটি, ২০১১ সালে ৫৯২ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়। ২০১২ সালে ৭২২ কোটি। ২০১৩ সালে এই পাচার বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬৬ কোটি ডলার।
দেশ থেকে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে টাকা পাচার। শুধুমাত্র ২০১৪ সালেই বাংলাদেশ থেকে এক হাজার ২৫৭ কোটি ডলার (১ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা) পাচার হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। সোমবার (১ মে) প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
পাচার হওয়া এই অর্থের পরিমাণ দেশের মোট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রায় সমান। আর এই অর্থ দিয়ে ৪টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব।
জিএফআইর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪টি প্রক্রিয়ায় এই অর্থ পাচার হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি মূল্য বেশি দেখানো (ওভার ইনভয়েসিং), রফতানিতে মূল্য কম দেখানো (আন্ডার ইনভয়েসিং), হুন্ডি ও অন্য মাধ্যমে বিদেশে লেনদেন এবং ভিওআইপি ব্যবসা।
জিএফআইর তথ্য মতে, গত দশ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে, যা দেশের মোট জাতীয় বাজেটের দ্বিগুণ। প্রতি বছর গড়ে পাচার হয়েছে ৫৩ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। প্রতি বছরই এই পাচারের হার বাড়ছে। এর মধ্যে শুধু ২০১৩ সালে পাচার হয়েছে ৭৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। অর্থ পাচারে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ না হওয়ায় টাকা পাচার বেড়েছে। এছাড়া দুর্নীতিও টাকা পাচারের অন্যতম কারণ। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে টাকা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেবে।
এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশের মোট বিনিয়োগের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ আসে বেসরকারি খাত থেকে। কিন্তু চলতি অর্থবছরে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ কমছে। বিপরীতে ২ বছর ধরে বেড়েছে আমদানি ব্যয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার হয়েছে। অর্থাৎ যন্ত্রপাতির মূল্য বেশি দেখিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ একবার বিদেশে টাকা গেলে, তা ফেরত আনা খুব কঠিন।
জিএফআই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর গড়ে ৬৫১ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে। ২০১০ সালে ৫৪০ কোটি ডলার অর্থ পাচার হয়েছিল। তিন বছরের ব্যবধানে এই অর্থ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬৬ কোটি ডলারে। গত দশ বছরে ৬ হাজার ৫১০ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে, ২০১০ সালে ৫৪০ কোটি, ২০১১ সালে ৫৯২ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়। ২০১২ সালে ৭২২ কোটি। ২০১৩ সালে এই পাচার বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬৬ কোটি ডলার।