সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ২০১১ সাল থেকে চলছে। প্রেসিডেন্ট বাশার নিজ দেশের বিরুদ্ধেই লড়ছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সিরিয়াতে যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স একযোগে হামলা শুরু করেছে। নিঃসন্দেহে এই হামলায়ও বহু নিরীহ নারীও শিশু মারা যাবে, যেমন মারছে বাশার নিজেও গত সাত বছর।
সিরিয়ার শক্তির প্রাণ ভোমরা রাশিয়া। কিন্তু এই পর্যন্ত ইতিহাস হলো, সিরিয়া সংকটে রাশিয়ার পার্ট হলো বক্তব্য সর্বস্ব। এখানে রাশিয়া কিছুই করেনি কিংবা করার সামর্থও রাখেনা।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের শত্রু সিরিয়ার দূর্গ ধসে যাওয়ার পর শেষ দূর্গ থাকবে ইরান। ইরান সত্যের উপরই ছিলো। কিন্তু তাঁদের ঘনিষ্ঠ সিরিয়ার বাসারের সত্য বহু আগেই প্রশ্নের সম্মুখীন। এটিও সত্য বাশারের পতনের পর মিথ্যার বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের শেষ এবং একমাত্র সত্য হলো ইরান।
সিরিয়াতে গতকালের ত্রিমুখী হামলার পরও রাশিয়া গালভরা হুশিয়ারী দিয়েছে পারমানবিক যুদ্ধের। আমরা জানি বিশ্বপ্রেক্ষাপটে এই মূহুর্তে এটি করার অবস্থান বা ইচ্ছা রাশিয়ার নেই।
মধ্যপ্রাচ্য বহুবছর যাবত যুদ্ধের রঙ্গমঞ্চ। এখানে যারা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলছে তারা সবাই নিজ দেশে নিরাপদ। যেমন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং সৌদি আরব।
এরও একদিন শেষ হবে। তবে তার আগে বাশারকে যেতে হবে। কারণ প্রজার অনিচ্ছায় কোন ক্ষত্রিয় রাজা টিকতে পারেনা, প্রজা হত্যা করেতো অবশ্যই না। এটিই হলো সমাধান। সিরিয়াতে এই সমাধান হবেই।
তারপর কোন একযুগে মধ্যপ্রাচ্যে যারা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলছে তারাও পরস্পরের মুখোমুখি হবে। তারপরই পৃথিবীর রিকন্সিলিয়েশন হবে। হবেই। কারণ সভ্যতার ইতিহাস চক্রাকারে আবর্তিত হয়।