কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রথম থেকে সরকারী দলের একটি অংশের বিরোধিতা ছিলো। তারা কোটার বিরুদ্ধে মিছিলও করেছেন। অথচ এই আন্দোলন সরকার বিরোধী কোন আন্দোলন ছিলোনা। তারা আন্দোলনের নেতৃত্বেও থাকতে পারতো। কিন্তু তারা ট্রেন মিস করলেন।
তারপর প্রধানমন্ত্রী যখন মাটির জিকির বুঝলেন এবং আন্দোলনকারীদের দাবি শুনলেন এবং কোটা বাদ দেওয়ার পরামর্শ পর্যন্ত দিলেন ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও নৃগোষ্ঠীর জন্যে বিশেষ বিধানসহ,-তখন সরকারী দল কোটার পক্ষে এবাউট টার্ণ দিলেন। তারা বিজয় মিছিল পর্যন্ত করে বসলেন।
রাষ্ট্র এখনো প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের ভিতরেই আছে। এরমধ্যে সংসদীয় কমিটি কোটা সংস্কারের পক্ষে প্রস্তাব দিলেন। তার মানে রাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ঠিক পথেই আছে। কিন্তু পরিহাস হলো এখনো সরকারের বহু কট্টর সমর্থক কোটার বিপক্ষে বিলাপ করতেছেনই!
আমরা এখনো বলি, কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি যৌক্তির আন্দোলন। এখানে কোন দৃষ্কৃতিকারী প্রবেশ করে নাশকতা করে থাকলে তাদের কঠোর বিচার হতে পারে। কিন্তু আন্দোলনে দেও দৈত্যের অংশগ্রহন মানে আন্দোলনের দাবিটি অসার হয়ে যায়নি।
সরকারের সাথে সরকারের সমর্থকদের এই দূরত্ব শুভ নয়। সমর্থকদের কাউন্সিলিং করুন। সামনে পুলসিরাত। কোটার বিলাপ রেখে গণসংযোগে মনোযোগ দিন। কারণ আপনারা হারলে বাংলাদেশ হারবে ।
সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক আর ইয়েমেনের ইতিহাস দেখে ভয় করুন। মানুষের কাছেই থাকুন। মানুষের পাশেই থাকুন।