লন্ডনে ’হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ শ্লোগানদাতাদের একটা মনস্তত্ত্ব আছে, খুব নিচু জাতের, যা অসত রাজনীতির সঙ্গে মানানসই। লক্ষ করু্ন, বতমান শাসক দলের বিরুদ্ধে অনেক রকম সমালোচনা করা যায়। দুনীতি, বেকারত্মসহ এমন মৌলিক ত্রটি আছে এদের। আমি, আমরা তাই করি। ওরা কিন্তে এর ধারে কাছে দিয়ে যায় না, গেলো না।হযতো ভাবে এসব বিষয়ে কেউ ফুসে ওঠলে পিছে গিয়ে দাড়ায়ে ভাগ নেবে। আলীগ হিন্দুযানী টাইপ এবং জাতীয়তারা বেশি মুসলিম টাইপ, সেই পুরানো জিনিসটা এখনও বিক্রি করতে চাচ্ছে। এই ধম জিনিষটা রাজনীতির ব্যবসায় বাজারে নামায় জিয়া। সামরিক শাসকেরা এমনিতে শিক্ষিত লোক হয় না । রাষ্ট্র বোঝে না। কিংবা বোঝে, এমন শিক্ষিত লোকের সঙ্গে জীবনে তাদের বেশি দেখাসাক্ষাতও হয় না। ধান্ধার সুবিধাথে যা বুঝে তাই বলে। সেই বুঝ নিয়ে জেনারেল এরশাদও ধামিকতার চচা করলো এবং দশ বছর টিকে গেলো। আলীগ ভাবলো, রাজনীতিতে, ভোটের বাজারে এর এমন ফজীলত আছে, তো আমরা খেলবো না কেনো।এটা খুব নিচু স্তরের প্রতিযোগীতা।সব বিষয়ে গরজনতার স্তরে নেমে যাওয়া যায না।তাহলে একটা পুরো রাজনৈতিক সংস্কৃতি নেমে যায়। যা আজকে দেখা যাচ্ছে।
:
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালের এক খ্যাতিমান বাঙালি গবেষক রওনক জাহান অনেক আগের একটা বহুল আলোচিত বইতে বলেছেন: জাতিয়তাবাদী দল হলো পাকিস্তানী মুসলিম লীগের বাঙলাদেশী সংস্করন। তিনি আইযুব খানের সঙ্গে জেনারেল জিয়া্উর রহমানের তুলনা করেছেন, যুক্তিদিয়ে। কিন্তু আজ আমাকে বলতে হচ্ছে, তুলনাটা ঠিক হয়নি। জেনারেল আইযুব খান বরং জেনারেল জিয়ার চেয়ে অনেকটা অগ্রসর মানুষ। ষাটের দশকেও আইয়ুব অনেক ধমান্ধতা মেনে নেয়নি। আেইন করে অনেক কিছু সংশোধনও করেছেন। আর জিয়া ও তার বংশ ধরেরা এমন সাম্প্রদায়িক উত্থানের আকালেও সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতির খেলাটাি খেলছেন, এখনও।ফলে এই একবিংশ শতাব্দীতে যুক্তিবুদ্ধির নুততম বুজোয়া রাজনৈতিক চিন্তার দলও দাড়ালো না যা সমথন করতে পারি। আমাদের অনেক বিল্পবী বন্ধু আছেন , আগামী দিনের অান্দোলন সংগ্রামে কিংবা নিবাচনে যারা জাতীয়তাদের সঙ্গে একটা পাটনাশীপের সম্পক রাখার কথা বলেন, ভাবেন এবং আমাদের ডাকাডাকি করেন।তারা আগামী দিনের বাঙলাদেশ গড়বেন, এটা ভাবতে আমার করুণা হয়। আমাদের দুভাগ্য এতো নিচুস্তুরের গ্লোগান, মানবসন্তান ও রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে।