মহানবীর ১৪ পত্নী নিয়ে কিছু কথা

মুসলিম সম্প্রদায়ের শেষ নবী মহম্মদ ১৪ টি বিয়ে করেছেন। এই সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে সংখ্যা ১১ টি থেকে ১৪টির মধ্যেই রয়েছে। বেশ কয়েকবছর আগে এ বিষয়ে দৈনিক ইত্তেফাকেও একটি নিবন্ধ ছেপেছিল। নিম্নে তাদের নামের তালিকা দেয়া হল।

০১.  খাদিজা: মহানবী ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছরের খাদিজাকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন ধনাঢ্য, বুদ্ধিমতি, বিচক্ষণ, বিশ্বাসী, সুন্দরী। তাকে বলা হয়েছে সর্বোত্তম নারী।

০২.  সাওদা: মহানবী ৫১ বছর বয়সে তাকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন সুন্দরী, স্বাস্থ্যবতী, দীর্ঘাঙ্গী, অহিংসুক, বিধবা।

০৩.  আয়শা: মহানবী ৫২ বছর বয়সে মাত্র ৬ বছরের শিশু আয়শাকে বিয়ে করেন। মহানবী তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন বিয়ের তিন বছর পরে। তিনি ছিলেন খলিফা আবু বকরের কন্যা, প্রজ্ঞা-জ্ঞানবতী, প্রত্যুৎপন্নমতি, স্মৃতিশক্তি ও তীক্ষè বুদ্ধি সম্পন্ন, সুন্দরী, উদার ও মহৎ।

০৪.  হাফসা: মহানবী ৫৪ বছর বয়সে তাকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন সুন্দরী, গুণবতী, খলিফা ওমরের কন্যা ও বিধবা।

০৫.  জয়নব: মহানবী ৫৫ বছর বয়সে তাকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন বিধাব, নিঃশ্বদের জননী, সুন্দরী।

০৬.  উম্মে সালমা: মহানবী ৫৫ বছর বয়সে তাকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন বুদ্ধিমতি, বিচক্ষণ, দূরদর্শী, রাধুনী, সুন্দরী।

০৭.  জয়নব বিনতে জাহাশ: মহানবী ৫৬ বছর বয়সে ৩৫ বছরের জয়নবকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন মহানবীর পালক পুত্রবধু, ফুপাত বোন, দাতা, অতীব সুন্দরী। নিজ পুত্রবধুকে বিয়ের জন্য আয়াত নাজিল হয়: ’আপনি মানুষকে ভয় করেন অথচ ভয়তো আল্লাহকে করা উচিত।’[সুরা আহযাব]

০৮.  জওয়াইরিয়া: মহানবী ৫৬ বছর বয়সে তাকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন অতি রূপসী, গুণবতী, বিধাব, যুদ্ধবন্দিনী-গণিমতের মাল।

০৯.  সাফিয়া: মহানবী ৫৮ বছর বয়সে তাকে বিয়ে করেন। তিনি শিক্ষিত, তালাকপ্রাপ্তা, বিধবা, রাধুনী, হযরত হারুন এর বংশধর।

১০.  উম্মে হাবিবা: মহানবী ৫৮ বছর বয়সে তাকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন দৃঢ়চিত্তা, বুদ্ধিমতি, আবু সুফিয়ানের কন্যা, অতীব সুন্দরী। তার স্বামী খ্রীস্টান  হয়ে যায় আবিসিনিয়ায় থাকার সময়। মহানবী আবিসিনিয়ার বাদশাকে বিবাহের প্রস্তাব দিলে বাদশা নিজেই উকিল হন এবং ৪০০ দীনার মহরানায় বিয়ে হয়।

১১.   মায়মুনা: মহানবী ৫৯ বছর বয়সে তাকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন বৃদ্ধা, তালাকপ্রাপ্তা, বিধবা, ধর্মপারায়ন।

১২.  রায়হানা: মহানবী ৫৭ বছর বয়সে তাকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন ইহুদী, বিধবা, সুন্দরী।

১৩.  মেরী: মহানবী ৫৭ বছর বয়সে তাকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন খ্রীস্টান, অপহৃতা, বিধবা, সুন্দরী। এই ঘরে মহানবীর এক পুত্রসন্তানও হয়।

১৪.  অজ্ঞাত:

তাঁর স্ত্রীদের মধ্যে দুজন ছিলেন, খলিফাদের কন্যা। তিনি অপর দুই খলিফার নিকট দুই কন্যাকে বিয়ে দেন। এখানে বলা ভাল দুই জামাতা খলিফা হন।  স্ত্রীদের অধিকাংশই ছিলেন সুন্দরী ও গুণবতী। একজন ভাল রাধুনীও ছিলেন। কয়েকজন ছিলেন বুদ্ধিমতি। এই তালিকায় কয়েকজনের নামের আগে সুন্দরী শব্দটি নেই তারা অসুন্দর ছিলেন কিনা জানতে পারি নি। তবে হাদিসে সুন্দরী মেয়েদের বিয়ে করার কথা বলা হয়েছে। কুমারী ছিলেন শুধুমাত্র খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের মেরি। একজন ছিলেন ইহুদী। ২৫ বছর বয়সে একজন ধনাঢ্য মহিলাকে বিয়ে করার পরে তিনি পরবর্তী ২৫ বছর আর কোন বিয়ে করেন নি। দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন ৫১ বছর বয়সে। পরবর্তী ৬ বছরে আরো ১২জনকে, গড়ে বছরে ২ জন করে। আমাকে একজন বললেন, এদের মধ্যে একজন ছিলেন গনিমতের মাল। সে ছিল অপরূপা সুন্দরী মহানবী কয়েকদিন নিজের কাছে রাখলে এ নিয়ে কথা উঠে তখন তাকে তিনি বিয়ে করেন। তার পালক পুত্রের বধু ছিলেন জয়নব। তাকে বিয়ে করার জন্য সমস্যা সৃষ্টি হলে একটি আয়াত নাজিল হয়; ’আপনি মানুষকে ভয় করেন অথচ ভয়তো আল্লাহকে করা উচিত।’[সুরা আহযাব] আয়াতটির সঠিক অনুবাদ এখানে দিতে পারিনি। সবচেয়ে নাটকীয় বিয়ে ছিল উম্মে হাবিকাকে বিয়ে করার সময়। এখানে তিনি আরেক জনের সুন্দরী স্ত্রীকে বিয়ে করতে রাজনীতিকে ব্যবহার করেন। তবে সমালোচিত বিয়ে বলা যায় আয়শাকে বিয়ে করাকে। তিনি ছিলেন তার তিন নম্বর স্ত্রী। তাকে বিয়ে করার পরে তার ৯ বছর বয়সে তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। এতোগুলো বিয়ে কেন করা হয়, এ বিষয়ে আমি ধর্মবিশ্বাসী আমার কয়েকজন বান্ধবীর সাথে আলাপ করি। তারা এর পক্ষে অনেক যুক্তি দেন: এদের অনেকেই ছিল অসহায়, তাদের স্বামীরা যুদ্ধে মারা গিয়েছিল। এদের বিশেষ প্রেক্ষাপটে এবং সামাজিক অবস্থায় বিয়ে করেন।

You may also like...

Read previous post:
মাহমুদুর রহমানের উপর এই অত্যাচার কেন?

ভদ্রলোক একটি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ভদ্রলোকটির পরিচয় উনি বিএনপি করেন। ভদ্রলোক যা করেছিলেন তা হলো জামায়াত নেতাদের ফাঁসীর জন্য গঠিত...

Close