অথর্ব-স্বৈরাচারী-মৌলবাদী-প্রতিক্রিয়াশীল প্রতিষ্ঠান, প্রজনন অক্ষম বৃদ্ধদের ভাগাড় বাংলা একাডেমি আসন্ন বইমেলায় শ্রাবণ প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ করেছে! শ্রাবণ প্রকাশনীর অপরাধ, এর কর্ণধার রবীন আহসান টক শোতে একজন প্রবীণ লেখককে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এবং এই ন্যাক্কারজনক কাজে বাংলা একাডেমির ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন।এবং এতেই বাংলা একাডেমির সরকার নিযুক্ত জমিদার-চাটুকারশ্রেষ্ঠ মহাপরিচালক ক্ষেপে গিয়ে রবীন আহসানের উপর প্রতিশোধ নিয়ে নিল!
রবীন আহসান শুধু শ্রাবণ প্রকাশনীর কর্ণধারই নন, দেশের প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং প্রতিবাদ সমাবেশে সামনের সারিতে দাঁড়ানো অতি পরিচিত মুখ। বাংলা একাডেমির এই প্রতিক্রিয়াশীল সিদ্ধান্তকে ঘৃণা জানানোর ভাষা জানা নেই। বাংলা একাডেমির ইতিহাস দালালির ইতিহাস, প্রতিক্রিয়াশীলতার ইতিহাস। এর মেরুদণ্ডহীন পরিচালকরা যুগে যুগে দালালির নজির রেখে গেছে।
শাসকের মনোরঞ্জন করা ছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের নষ্ট মহাপরিচালকগণ আর কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি। একুশের চেতনার ছিটেফোঁটা ধারণ করার শক্তি সামর্থ্য কিংবা নৈতিক অধিকার কোনটাই এই প্রতিষ্ঠানটির নেই। শ্রাবণ প্রকাশনীর উপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানাই।অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হোক।