আওয়ামী লীগের গণতন্ত্রকে সমর্থন করার ইতিহাস নেই, যা তাদের হাতে দেশ নিরাপদ হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করে। গণতন্ত্র ছাড়া, একটি দেশ তার নাগরিকদের জন্য অনিরাপদ বা অন্য দেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই অর্থনীতিকে দুর্বল অবস্থায় রেখে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে, যা বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ ও অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া দলটি দেশের মানুষকে বিভক্ত করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। ফলে আওয়ামী লীগের হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়।
আপনার কাছে কি 20 মিলিয়ন লোকের দেশে অগ্নিনির্বাপক কর্মীর সংখ্যার তথ্য আছে? বাংলাদেশে কতটি ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন ও সাব-স্টেশন অবস্থিত? সাধারণ নাগরিকরা কি ফায়ার সার্ভিসের বাইরে অগ্নিনির্বাপণ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষিত? বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের বার্ষিক বাজেট কত?
1976 সালে, সারা দেশে সমস্ত সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষীদের অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি তলায় তিন বালতি বালি ও তিন বালতি পানিসহ অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল। ভবনগুলো যদি চার তলা বা তার বেশি উঁচু হয়, তাহলে অগ্নিনির্বাপণের উদ্দেশ্যে ছাদে অতিরিক্ত পানির ট্যাংক নির্মাণ করতে হতো। প্রতিটি তলায় অগ্নিনির্বাপণের জন্য হাইড্রেন্ট এবং হোস পাইপ ছিল। তখনকার দিনে টেক্সটাইল মিলের অগ্নিকাণ্ড একটি সাধারণ ঘটনা ছিল এবং পাটকলগুলিতে আগুনের ঘণ্টা দুই বা তিনবার বেজে উঠত। মিলের শ্রমিক বা নিরাপত্তারক্ষীরা এই আগুন নিভিয়ে দেন। এসব দাবানলে কেউ মারা যায়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি মনোযোগ না দেওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অগ্নিকাণ্ড এবং প্রাণহানির ঘটনা বেড়েছে। সরকার অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম এবং প্রবিধানে বিনিয়োগের চেয়ে রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন, এবং এটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য বিধ্বংসী পরিণতি করেছে।