বাংলাদেশের যারা ফ্রী তাহমিদ ক্যাম্পেইন করছেন, আপনাদের কে নব্য রাজাকার বলা ছাড়া আর কোন উপায় নাই আপাতত আমার। আপনাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাই দিলেও আপনারা মানতে নারাজ। আসলে কি জানেন টাকায় কথা কয়। যার টাকা বেশি তার পা তো চাটবেনই আপনারা।আপনাদের এই সমর্থন দেশের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ। আপনারা নিজেরাই জঙ্গিবাদ কে বুকে লালন করেন। আপনাদের কে ধর্মান্ধ বলবনা। আপনাদেরকে বলবো টাকার মোহে টাকান্ধ। আপনারা টাকা পেলে নিজের দেশকেও বেঁচে দিতে এতটুকু পরিমান দ্বিধা পর্যন্ত করবেন না।
তারপরও দেশ কে যেহেতু ভালবাসি তাই দেশকে রক্ষার দায়িত্ব থেকেই বলছি, দয়া করে যদি একটু ভাল করে লক্ষ্য করেন, কালো গেঞ্জি পরা তাহমিদের দিকে খেয়াল করেন, এখানে তাহমিদ অস্ত্র হাতেই দাঁড়িয়ে আছে। আমরা যদি তাহমিদের পক্ষে ওঠা যুক্তি থেকে ধরেও নেই যে তাহমিদ কে জোর করে জঙ্গিরা অস্ত্র ধরিয়ে দিয়েছিল/ অথবা বাধ্য করেছিলো/ অথবা বলেছিল অস্ত্র না ধরলে তোরে মেরে ফেলব/ জঙ্গিদের সাথে অস্ত্র হাতে যোগ দিতে বাধ্য করেছিলো, নিচের ছবিতে তাহমিদ এর অবস্থান দেখে এই যুক্তি খারিজ হয়ে যায়।
ভাল করে তাহমিদ এর মুখের এক্সপ্রেশন দেখুন। এই মুখের ভাব দেখে কোন এঙ্গেল থেকে, আপনাদের আসলেই কি মনে হয় তাহমিদ রিলাকটেন্ট প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে? বরং চেনা বন্ধুদের সাথে সাথে সমস্যা নিয়ে আলাপচারিতার সময় মুখের ধরন, ভাঁজ, ভঙ্গিগত যে পরিবর্তন হয় তার সর্বচ্চটুকুই এই ছবিতে বিদ্যমান। পাশের জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজ আর হাসনাত এর এর কথা বাদই দিলাম কারন এদের মুখোশ অনেক আগেই খোলা হয়েছে। হাসনাত এর ব্যাপারে আমার ব্যাক্তিগত ব্লগ এ এর আগে আমি কোরিয়ান ভদ্রলোক ডি কে হোয়াং এর করা ভিডিও ফুটেজ থেকে একটা অনুসন্ধানী পর্যবেক্ষণ করেছিলাম।
এখানে পাবেনঃ http://wp.me/p7Cy1w-44
অনুমানের ভিত্তিতে করা হলেও পরবর্তীতে হাসনাতই যে গুলশানের জঙ্গি হামলার নাটের গুরু তার প্রমাণ আপনারা ইতিমধ্যেই পেয়েছেন। হাসনাত করিম হিন্দি চলচ্চিত্রের বেশ ভক্ত ছিলেন সেটি তার টুইটার একাউন্ট ঘেটে জানতে পারলাম। বিশেষ করে নারী অভিনেত্রীদের প্রতি তার বেশ আগ্রহ ছিলো সম্ভবত। একজন হিজবুত তাহরীর কর্মীর কাছ থেকে এই জাতীয় আগ্রহ ইন্টারেস্টিং বটে!!
আপাতত এদের কথা বাদই দিলাম। আপনার কি মনে হয় এই ছবিতে তাহমিদ জঙ্গিদের বাধ্যগত অনিচ্ছুক যুবকের ভঙ্গিতে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে? আর জঙ্গিদের কথোপকথন শুনছে? এত এত জঙ্গি থাকতে তাহমিদ আর হাসনাত কে নিয়েই জঙ্গি রোহান কে উপরে উঠতে হয়েছে? কেন?
আর যদি তর্কের খাতিরে মেনেও নেই যে তাহমিদ কে অস্ত্র ধরিয়ে রেখে শুধু গৌন ঢাল হিসেবে জঙ্গিরা ব্যাবহার করেছিলো তাহমিদ কে, তাহলে তাহমিদ একজন গৌন ঢাল হিসেবে ব্যাবহার হতে পারে সর্বোচ্চ, একজন আলোচক হিসেবে দাঁড়াতে পারে কি? জঙ্গিরা তাদের ব্যাক্তিগত আলোচনার অংশহিসেবে বন্দী একজন/ দলের বাহিরের মানুষ তাকে সামনে রেখে আলোচনা করবে কি? আপনার উপস্থিত বুদ্ধিতে কি বলে?
অথবা যদি এভাবেও বলি, গুলশানে রেস্টুরেন্ট এ ঢুকবার পর পরই যদি গুলি করে সবাইকে মেরে ফেলত জঙ্গিরা, তাহলে পিস্তল দিয়ে দাড় করিয়ে রাখার মহড়া কেন? বন্দী সকলকে তো জবাই করে মারা হয়েছিল।
একজন নয়া নবিস এর হাতে পিস্তল দিয়ে তো সন্ত্রাসীদের সতর্ক থাকা উচিৎ ছিল, যদি গুলিটুলি করে বসে? তাইনা? তাহলে তা না করে এতটাই রিলাক্স থাকবার কথা ছিল কি সবার?
আমার দৃষ্টিতে যতটুকু পেরেছি অনুসন্ধান করে আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। তাই বিচারের ভারটা আপনাদের উপর-ই ছেড়ে দিলাম।
রক্ত দিয়ে গুলশানে গোসল ও চিংড়ী মাছ দিয়ে সেহেরী করার পর রিলাক্স ভঙ্গিতে পালের গোদা টাক্কু হাসনাত ও খুনী হেলপার তাহমিদ