প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ডক্টর গওহর রিজভী যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা “র” এর এজেন্ট, এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী যত চুক্তি ভারতের সাথে আমাদের হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে যার ইন্ধন রয়েছে ও রয়েছে বুদ্ধি সেটি আর কেউ নন এই গওহর রিজভী। ডক্টর গওহর রিজভী একাডেমিক একজন ব্যাক্তি হিসেবে অত্যন্ত প্রতিভাধর সেটিতে সন্দেহ নেই। পরিপূর্ণ পুঁথিগত বিদ্যান বলতেও কোনো আপত্তি নেই। মজার ব্যাপার হোলো এই রিজভী ঠিক যে প্রক্রিয়াতে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে সেটির মধ্যে অবশ্যই “কিন্তু” রয়েছে।
[উপরের তথ্যটি জয়ের লিংকড ইন প্রোফাইল থেকে নেয়া]
শেখ হাসিনার একমাত্র পূত্র সজীব ওয়াজেদ জয় হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির জন এফ কেনেডি স্কুল থেকে ব্যাবসায় প্রশাসনে মাস্টার্স করেছে বলে আপ্নারা অনেকেই জানেন। যদিও আমি আমার আগের লেখায় বলেছি যে জয় যে মাস্টার্স করেছে সেটি মূলত দেশের মানুষের পরিশ্রমের টাকা। শেখ হাসিনা কিভাবে অবৈধ উপায়ে দেশের বাইরে টাকা পাচার করেছেন কিংবা কিভাবে কমিশন খেয়েছে বড় বড় তেল-গ্যাস কোম্পানীকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেবার মাধ্যমে সেটি আপনারা সকলেই জানেন। আর সেই টাকা দিয়েই জয় পড়ালেখা করেছে। কিন্তু লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে যে জয়ের যে মেধা বা ক্যালিবার সেটি অত্যন্ত নিম্ন শ্রেণীর। হার্ভার্ডে পড়ার মত যোগ্যতা জয়ের কখনোই ছিলোনা। অন্তত মেধাকে বিবেচনা করলে। কিন্তু এই মেধা নিয়ে কিভাবে জয় হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়েছে? এই ব্যাপারটি অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে চমকপ্রদক এক তথ্য।
প্রধান মন্ত্রীর বর্তমানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী মূলত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির জন এফ কেনেডি স্কুলের জয়ের ওই সুনির্দিষ্ট বিষয়ের ( যে বিষয়ে জয় মাস্টার্স করেছে) শিক্ষক ছিলেন। সিনিয়র অধ্যাপক হিসেবে রিজভীর সুনাম আছে সেখানে। এই আপাদমস্তক ভারতীয় এজেন্ট যে কিনা বিয়েও করেছে দেশের বাইরের এক মহিলাকে এবং যার বাচ্চা কাচ্চা সবাই বাংলাদেশের বাইরে থাকে এই লোকটি জয়কে তার রেফারেন্স দিয়ে হার্ভার্ডে এডমিশন নিয়ে দিয়েছে। আপনারা জানেন যে হার্ভার্ডে ভর্তি হতে হলে রেফারেন্স খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই রিজভীর সাথে জয়ের চুক্তি-ই হয়েছিলো যে যদি তাকে হার্ভার্ডের এই বিভাগে ভর্তি করানো হয় এবং সেখানে পড়ালেখার সময় তাকে নানাবিধ তথ্য এবং তার ডিজার্টেশন, কোর্স ওয়ার্ক ইত্যাদিতে রিজভী পাশ করিয়ে দেয় তবে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গেলে তাকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা করা হবে। অবশ্য এই ব্যাপারটিতে শেখ হাসিনার উপর ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ “র” এর একটা প্রচ্ছন্ন ভূমিকাও ছিলো।
বাংলাদেশ যে ১০০ কোটি ডলার ভারতের কাছ থেকে লোন এনেছে কিংবা গত ৭ বছরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে চুক্তি হয়েছে প্রত্যেকটিতে রিজভী বাংলাদেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের স্বার্থকেই সুউচ্চে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে আবার সে চুক্তিতেই লেখা ছিলো যে অবকাঠামো উন্নয়নে যে কাঁচামাল ক্রয় করবে বাংলাদেশ সেগুলো বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকেই তাদের নির্ধারিত মূল্যে কিনবে। এর থেকে ভয়াবহ কোনো চুক্তি হতে পারে বলে কি আপনাদের কারো জানার আছে? ভারতের এই এজেন্ট শুধু মাত্র মাথামোটা, গর্দভ ও ভয়াবহ লো ক্যাটাগোরির একটা ছেলের হার্ভার্ডে ভর্তিকে পুঁজি করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হয়ে গেলো।
নিউ এইজ এক সাক্ষাৎকারে খুব বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়েছিলো এই রিজভীকে। যেখানে সাক্ষাৎকার কারী মোহাম্মদ আবু নাসের রিজভীকে জিজ্ঞেস করে বসেছিলো ও বলেছলো যে-
By the way, have you ever taught Sajeeb Wazed Joy, the son of our prime minister Sheikh Hasina?
This seems to be a somewhat odd question to ask when we are discussing policies of the government and my role as adviser. However, since you ask I should like to be candid and answer as fully as possible. Sajeeb was a student at Harvard Kennedy School whilst I was a faculty member there. I did not teach Sajeeb directly but I am very fond of him and he is very close to me. He is a bright young man, with a passionate commitment to Bangladesh, and a very agreeable company. Of course, I knew him even before he came to Harvard. I have known five generations of Bangabandhu’s family; my father (a protégé of the late Husseyn Shaheed Suhrawardy) and Bangbandhu were very close; and I have had the privilege and honour of working with the prime minister for the last three decades. Since I do not understand the thrust of your question, I do not know if I have answered your questions but I hope your readers can judge for themselves.
Your critics may say that by appointing you as her adviser Sheikh Hasina intends to build an alternative centre of foreign policy strength in her government deviating from the traditional role of the Ministry of Foreign Affairs. How would you defend this assertion?
I have no idea how the so-called critics have come to such a conclusion. Advisers do not constitute alternate centres of power. Nor do they constitute another layer between the ministers and the prime minister. To be perfectly candid, the advisers have no executive or decision-making role; they do not play any part in the work of the line ministers; and certainly they take no part in the day-to-day work of the ministries. The role of the advisers is solely to advise the prime minister on issues relating to their portfolio or on any other matter that the prime minister might refer to them. Governance in the twenty-first century global world is complex and the demands on the prime minister’s time are mind boggling. Even though decision making happens mostly at the ministerial level, the prime minister invariably has the final word and is responsible for providing the vision and the policy directives. The advisers act as her personal think tank, provide research, sift information, provide alternative perspectives and to help to enrich the process of decision making. If you look at parliamentary governments elsewhere in the world, especially in Britain and India, you will notice that prime ministers in these countries also have advisers who play a variety of roles. They add to the expertise, facilitate the work of the prime minister, and augment the ability of the prime minister to function more effectively. There is absolutely no conflict between the role of the ministers and the advisers; and to the best of my knowledge no minister has ever complained about this. In fact, many ministers have cordial relations with the advisers and see the advisers as additional resource persons. Much of the speculation in the press is no more than idle gossips and wishful thinking.
[ডক্টর গওহর রিজভীর উইকিপিডিয়া প্রোফাইল যেখানে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে যে তিনি জন এফ কেনেডী স্কুলের একজন শিক্ষক ছিলেন]
বাংলাদেশ কি আসলেই একটি সার্বভৌম একটি দেশ? আসলেই কি আমরা প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছি? এইসব ঘটনাগুলো জানলে মনে হয় আমরা স্বাধীনতা তো পাই-ই নি বরং এই আওয়ামী বাকশালী পশুগুলো এই বাংলাদেশকে যেন ভারতের কাছে অবলীলায় সঁপে দিয়েছে। কতই না সহজ একটা দেশকে নিয়ে এইভাবে ছিনিমিনি খেলা। ইউনিভার্সিটিতে ঢুকিয়ে দেবার নাম করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বানিয়ে দেবার খেলা। কি এক অদ্ভুত বাংলাদেশে আমরা বাস করছি!!