আমরা গোল্ডফিস মেমোরির জাতি। তাছাড়া কোনো সমস্যারই গভীরের কারণগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করেও আমরা অভ্যস্ত নই। লক্ষ্মীপুরের পৌর মেয়র আবু তাহের সাহেব নামাজের সময়ে দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়ে মাইকিং করিয়েছেন। আর এই ঘটনাটার জন্য আমরা সবাই তাকেই দোষারোপ করছি। অথচ আমরা বেমালুম ভুলে গেছি- স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের প্রতিটি সরকার এবং সরকার প্রধানই আমাদের রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের সংবিধান, রাষ্ট্রের আইন, শিক্ষাব্যবস্থা, গণমাধ্যম আর সমাজব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে শরিয়া শাসনের দিকেই নিয়ে গেছে। সর্বশেষ হেফাজতের ১৩ দফা দাবীর অনেকগুলোই লিখিত বা অলিখিতভাবে আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজে কার্যকর হয়ে গেছে। তাছাড়া, ৯৩% মুসলমানের দেশে ৮০% এরও বেশী জনগণ শরিয়া আইন চায়, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানই তাই বলে।
তাহের সাহেব আর তার পরিবার দুর্নীতি আর খুন-খারাপির সাথে জড়িত থাকলেও রাষ্ট্র ও সমাজের কাছে তিনি মানুষ খারাপ নন। তিনি একজন দাড়ি-টুপিওয়ালা ফরহেজগার টাইপ লোক। তাড়াছা হজ্জও করেছেন। হজ্জ করতে গিয়ে পবিত্র সৌদি আরবে তিনি যা দেখে এসেছেন, নিজের এলাকায় সেটাই প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু হিসাব করে দেখুন, তাহের সাহের আমাদের দেশের প্রতিটি সরকার, সরকার প্রধান আর সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান জনগণের স্বপ্নেরই বাস্তবায়ন করেছেন। তার দল আর তার সরকারই তাকে মদিনা সনদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলো।
নোয়াখালির মানুষ খুব সাহসী, আল্লাওয়ালা আর জনগণের বন্ধু হয়ে থাকে। তিনি জাতির স্বপ্ন পূরণ করেছেন, হি ইজ এ রিয়েল নোয়াখাইল্যা।