আগামী বছরের শেষের দিকে হবে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আওয়ামীলীগ-এর নেতারা এখন থেকেই উঠে পড়ে লেগেছেন। দলের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রকাশ করতে বিভিন্ন সময় বেফাঁস কথা বলে দিচ্ছেন।
কিন্তু এসব বেফাঁস কথা বলায় একদিকে ভালোই হচ্ছে। লুকিয়ে থাকা অনেক অজানা সত্যি তথ্য বের হয়ে আসছে আস্তে আস্তে।
ঠিক এরকম ঘটনাই ঘটেছে সাভার-১৯ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তারা ইতিমধ্যে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সেখানকার আওয়ামী লীগ মূলত তিনটি গ্রুপে বিভক্ত। একটি গ্রুপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান এমপি ডা. এনামুর রহমান। অপর দুটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন সাবেক এমপি মুরাদ জং ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন। তবে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন এনামুর রহমান ও মুরাদ জং।
মুরাদ জং হচ্ছেন রানা প্লাজার সেই কুখ্যাত খুনি রানা। যার জন্য কয়েক হাজার পোশাক শ্রমিক এখনো পঙ্গু , নিখোঁজ , কতজন নিহত হয়েছেন তা অজানা। এমনকি এর পর সেই রেশমা নাটক।
সাভারের বর্তমান এমপি ডা. এনামুর রহমান নির্বাচনী এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মোবাইল ফোনে মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, সাভারে অনেক ক্যাডার আর মাস্তান ছিল।
এখন সব পানি হয়ে গেছে। কারও টুঁ শব্দ করার সাহস নেই। ৫ জনকে ক্রসফায়ারে দিয়েছি আরো ১৪ জনের লিস্ট করেছি। সব ঠাণ্ডা। লিস্ট করার পর যে দু’একজন ছিল তারা আমার পা ধরে বলেছে, আমাকে জানে মাইরেন না আমরা ভালো হয়ে যাবো। (ডা. এনামুর রহমানের বক্তব্যের রেকর্ড রয়েছে আমাদের কাছে।)
এর থেকেই প্রতীয়মান হয় যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামিলিগাররা রাজনৈতিক ও ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এইসব ক্রসফায়ার এর নাটক সাজিয়ে হত্যা করছে বিএনপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মীদের। আর প্রশাসন এসব ক্রসফায়ার এর নাটককে পরে বন্দুকজুদ্ধ হয়েছিল বলে চালিয়ে দেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, আওয়ামীলীগ নেতাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করার অধিকার দিয়েছে কে? এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না, অন্তত সভ্য দেশ এভাবে চলার প্রশ্নই ওঠে না। মানুষকে হত্যা করে, গুম করে তাদের আদর্শকে একদম মিটিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের ট্যাক্স এর টাকায় চলে এই সরকার ও তার প্রশাসন, আর আমাদেরকেই বার বার হতে হয় বলির পাঠা?