ব্যাংক ব্যবস্থা সম্বন্ধে জনগণকে প্রকৃত সত্য অবহিত করুন, যেহেতু ব্যাংক ব্যবস্থার গলদ নিয়ে পত্রিকাগুলো অনবরত লিখছে। এই অবস্থায় মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত, মানুষ দিশেহারা, মানুষ নিরুপায়।
জনমনে ইনসিকিউরিটির বোধ বাড়ছে। মানুষের মনোবল বাড়ানোর দায়িত্ব সরকারের আছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব, গভীরতা এবং উত্তরণের উপায় নিয়ে সংসদে আলোচনা করুন।
সবচেয়ে ভালো পন্থা হতে পারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে টোটাল ব্যাংক ব্যবস্থার সবগুলো বিচ্যুতির বিচার করে জনগণকে অবহিত করা। মানুষ আইনের প্রয়োগ দেখুক। মানুষ নিজেদের নিরাপদ ভাবুক।
উগ্র মুরিদ আর স্তাবকদের কথা না শুনে জনগণের চাওয়ার গুরুত্ব দিন। গণমানুষের কথা শুনুন, সমালোচনাকে গ্রাহ্য করুন। স্তাবকরা সংকটে কোন কাজে লাগেনা। এটি আমরা তিউনিশিয়ায়, ইয়েমেনে, মিশরে, লিবিয়ায় কিংবা দু’দিন আগে ঘটে যাওয়া আর্মেনিয়াতে দেখেছি।
গণবিশ্বাস আর গণমনস্তত্ত্ব হলো একটি চেইন রিএ্যকশন। একটি সমাজ রাষ্ট্র ও সংসারের যে অংশটি সবচেয়ে দুর্বল সে অংশের বিশ্বাসের স্তম্ভটি প্রথমে ধ্বসে পড়ে। কোন একটি স্তম্ভ একবার ধ্বসে পড়লেই কিন্তু নিউক্লিয়ার রিএ্যকশন শুরু হয়ে যাবে। তখন একে একে সবগুলো স্তম্ভ পড়তে থাকবে। নিদানে আর কিছুই করার থাকবেনা। গণমানুষের প্লাবনের প্রতিকূলে দাঁড়ানোর শক্তি পৃথিবীর কোন বাহিনীরই নেই।
সুতরাং বর্তমানের রাষ্ট্রের সবচেয়ে ঐন্দ্রজালিক সেক্টরটিতে রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করুক। লুটেরা, বর্গী, হার্মাদদের হাত থেকে রাষ্ট্রকে বাঁচান। আমরা চাই, শাসনের ধারাবাহিকতা রক্ষা হোক। না হলে, রুক্ষ মরুভূমির মধ্যপ্রাচ্যের মতো পলিমাটির বুনটে গড়া সবুজ শ্যামল বাংলাও হবে হাবিয়া দোজখ। কিন্তু আপনারা সম্পূর্ণ পঁচে গেলে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিও আপনাদের টিকাতে পারবোনা।
রাষ্ট্র বিপদে পড়লে লুটেরা আর স্তাবকরা কিন্তু পাশে থাকবেনা। উগ্র মুরিদ আর স্তাবকদের খপ্পরে পড়ে বহু মানব নিজেদের মহামানব ভেবে বসেছে, আর বহু মহামানব নিজেদের অতিমানব ভেবে বসেছে। রাষ্ট্র যেন তেমন মনস্তাত্ত্বিক রোগের খপ্পরে না পড়ে।
মানুষকে রূপরেখা দিন। মানুষকে দিক নির্দেশনা দিন। অর্থমন্ত্রণালয়ের অধিকারীর বয়স হয়েছে । অর্থনীতির উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ নেই। উনাকে বিশ্রাম দিন । সুনির্দিষ্ট করে বলছি, উনাকে বিশ্রাম দিন।