ছবিতে যে চকলেট চিঙ্গড়ি সদৃশ বাচ্চাটাকে দেখা যাচ্ছে তাকে আজকে ফেসবুকাররা লোকেট করেছে উঠতি জঙ্গী হিসেবে। এর নাম রাইয়ান হাকিম। এই ছেলে বেশ কিছুদিন ধরে আজকের নিহত সন্ত্রাসী মীর সামিহ মোবাশ্বের ও নিরবাস ইসলামের সাথে ওঠাবসা করছে এবং কোনটা সহী হাদীস আর কোনটা সহী কুরান এইটার জ্ঞান দিচ্ছে সবাইকে।ভাবে চক্করে মনে হয় এই পিচ্চি সুইসাইড বম্বারের বাপ। বাল তো দূরের কথা চিঙ্গড়িটার দাঁত উঠেছে কিনা সন্দেহ কিন্তু তারই আগে হারামজাদা জঙ্গী ট্রেনিং নিয়ে বসে আছে। এই বাচ্চা চিংড়ীটাকে কেউ চিনে থাকলে তার বাবা মাকে একটু বলে দিবেন দয়া করে আর জালি বেত থাকলে কষে কয়েকটা লাগায়া দিবেন সুযোগ থাকলে।
ঢাকার গুলশানে জঙ্গি হামলাকারীদের ছবি প্রকাশের পর পর হামলাকারী জঙ্গিদের ছবি দেখে ফেসবুক একাউন্ট ও সনাক্ত করা গেছে। খবর ভাইরাল হয়ে গেলে একাউন্ট ডিএক্টিভেট করে দেয়া হয়।
হামলাকারী জঙ্গি ১ জন, মীর সাবিহ মুবাশ্বের স্কলাসটিকার ছাত্র। এ লেভেল পরীক্ষার আগে গত মার্চে মুবাশ্বের নিখোঁজ হন বলে তার এক সহপাঠীর বরাত দিয়ে জানিয়েছেন।
জঙ্গি আর একজন নিব্রাস ইসলাম নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। সাবেক সহাপাঠীরা সনাক্ত করে তার ছবি ও পরিচয় সামনে এনেছে।
জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজ নামের এই ছেলেও স্কলাসটিকার সাবেক ছাত্র।রোহানের বাবা ইমতিয়াজ খান বাবুল ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল।
যা ভাবছিলাম, পুলিশ এই রকম আউল ফাউল নাম আকাশ, বিকাশ, ডন, বাঁধন ও রিপন দিয়ে বলবে এদের পরিচয় জানা যায়নি। হয়ত এই জঙ্গিদের পরিবারও অস্বীকার করতে পারে নিজ নিজ সন্তানদের পরিচয়। জঙ্গির বাবা মা হিসেবে নিজেদের পরিচয় আড়াল করতেই চাইবে ভাল ভাবে বাঁচতে। কয় দিন পর শুনব এরকম কোন হামলাই হয় নাই। সিসি টিভি ক্যামেরা গুলাও ওই নির্দিষ্ট হামলার সময় বন্ধ থাকবে। কোন ফুটেজ পাওয়া যাবে না। এটারেও সরকার বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলবে। এই তামাশা দেখার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকেন।