আজ একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছি আপনাদের। শুনলে আপনারাও অবাক হবে। কিভাবে এক নেতা কন্যা ঘরে স্বামী, বাচ্চা ফেলে পরপুরুষের সাথে পরকীয়াই লিপ্ত হোল এসব বিষয়ে আজ একটু আলোকপাত করবো।
আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী জাগাঙ্গীর কবির নানন কন্যা রাখি তার স্বামী ও একমাত্র সন্তান ছেড়ে যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি ঝলক পালের সাথে প্রায় ৭ বছর পরকীয়ায় লিপ্ত আছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঝলক পাল নিজে বিবাহিত এবং এক পুত্র সন্তানের জনক।
খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি নানক কন্যা রাখি নাকি দীর্ঘদিন প্রেম করার পর পুরানো ঢাকার আসিব ইবনে আলম ওরফে তিতাসকে। সব কিছু ঠিক ঠাক-ই চলছিলো। তাদের এই সংসারে মুখ উজ্জ্বল করে একটি পূত্র সন্তানও জন্ম নেয়। কিন্তু সে সুখ বেশীদিন টেকেনি। তাদের সম্পর্কের এই ফাটলের মুল কারন হলো হঠাত করে রাখির বাবা জাহাঙ্গীর কবির নানকের শত শত কোটি অবৈধ অর্থের সাপ্লাই। বিপুল অঙ্কের এই অর্থ সম্পত্তি আসায় ধীরে ধীরে বিগড়ে যেতে থাকে রাখি। একটা সময় তার স্বামী আসিফের অনুপস্থিতি ও ব্যাস্ততার অজুহাত দেখিয়ে রাখি তার দুধের সন্তানকে ফেলে গোপনে প্রেম শুরু করে ঝলকের সাথে। যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের এই নেতা অনেক আগের থেকেই দুশ্চরিত্রের বলেই সবাই জানে। দলীয় কর্মকান্ড ও আওয়ামীলীগের নানাবিধ সভায় একে অপরের সাথে পরিচয় হয় ঝলক পাল ও রাখি। আস্তে আস্তে দুজনের সম্পর্ক আরো গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে এবং একটা পর্যায়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় দু’জনের মধ্যে।
স্বামী-সন্তান ফেলে রাখি সামান্যতম দ্বিধা করেনি একজন পরপুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক করবার আগে। তার স্বামী প্রতিবাদ করতে গেলে নানকের ভয় দেখিয়ে তাকে বার বার চুপ করিয়ে রাখা হোতো এবং হুমকি দিয়ে বলা হোতো যে বেশী উচ্চবাচ্য করলে তার ছেলেকে আর কোনোদিন দেখতে পাবে না এবং বাংলাদেশে তার বাবা-মাকে শেষ করে ফেলা হবে। এসব হুমকির ভয়ে স্বামী আসিফ বাধ্য হয়েই রাখির এই বেলেল্লাপনা মেনে নেয় এবং আক্ষরিক অর্থে রাখি তার স্বামীর নাকের ডগায় ঝলক পালের সাথে প্রতি রাতেই যৌনতা করে বেড়ায়।
এদিকে ঝলক পালের সাথে রাখির এই সম্পর্ক যুক্তরাজ্যের সবাই কম বেশী জানেন। অনেকে বলছেন জাহাঙ্গীর কবির নানকের সারা জীবনের পাপের ফসল হচ্ছে এগুলো। তার একমাত্র পূত্র সায়েম চট্রগ্রামে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু বরন করেন ২০১২ সালে আর এইদিকে তার মেয়ে রাখি নিজের স্বামী ও সন্তান ফেলে একজন বিবাহিত ছেলের সাথে নষ্টামি করে বেড়াচ্ছে দিনের পর দিন। এই জাহাঙ্গীর কবির নানক-ই হচ্ছে সেই ব্যাক্তি যিনি ২০০৪ সালে ঢাকা শেরাটন হোটেলের সামনে একটি চলন্ত বাসে গান পাউডার মেরে প্রায় ১২ জন ব্যাক্তিকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারে যেই কথা ১/১১ এর সময় আওয়ামী আরেক প্রভাবশালী মন্ত্রী শেখ সেলিম ইন্টারোগেশন সেলে স্বীকার করে।
নানকের কন্যা শুধু স্বামী আর সন্তান ফেলে ঝলক পালের সাথে যৌনতাই করে বেড়াচ্ছেন তা নয় বরং আগের স্বামীকে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এই সাবেক্ মন্ত্রীর মেয়ের ঘটনায় যুক্তরাজ্য বাংলা কমিউনিটিতে তোলপাড় পড়ে গেছে। আওয়ামীলীগের অনেক প্রবীন ও ত্যাগি নেতা রাখির এইসব কর্মকান্ডে বিব্রত বোধ করছেন। তাঁরা বলছেন যে এক মন দুধের মধ্যে এক ফোটা চনা পড়লে পুরো দুধটা যেমন নষ্ট হয় তেমনি নানক আর তার মেয়ের ইতিহাস আওয়ামীলীগের জন্য অত্যন্ত পরিতাপের ও লজ্জার।
রাখির এইসব বেলেল্লাপনার খবরে অনেকে তাকে একটি বুঝে শুনে কাজ কর্ম করতে বলার পরামর্শ দিলেও তিনি অত্যন্ত রেগে যান। তিনি বলেন, “আমার দেহ আমি যাকে খুশি দেব, এতে কার বাপের কি? আমি ঝলককে ভালোবাসি ওকে ছাড়া আমি বেঁচে থাকতে পারব না। ঝলক যদি ১০০ টা বিয়েও করে তাতে আমার কিছু যায় আসেনা। আমাকে ও সত্যকারের সুখ দিয়েছে আমি তাতেই খুশি। আমার একটা ছেলে আছে সেটা আসিফের মাথা ব্যাথা। এরকম ১০ টা বাচ্চা আমি ঝলকের সাথে জন্ম দিতে পারি”
এদিকে এমন একটি ঘটনায় চারিদিকে ছি ছি রব পড়ে গেছে। সবাই বলছেন যে দলের নেত্রী মদিনা সনদ বাংলাদেশে চালু করবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন তার দলের নেতার মেয়ে এই ধরনের অশ্লীল কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে। আর এভাবেই কি মদিনা সনদের মাধ্যমে তিনি দেশ চালাবেন?
